ভিটামিন শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরকে সুস্থ ও ফিট রাখতে ভিটামিন জরুরি। শরীর সহজেই সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে। তবে আজকাল জীবনযাত্রার কারণে অনেকেই ভিটামিন ডি-র ঘাটতিতে ভুগছেন। আজকাল বেশিরভাগ মানুষ দীর্ঘ সময় এসি ঘরে থাকে। এছাড়াও দূষণ, ব্যস্ত ও খারাপ জীবনযাত্রা ইত্যাদি নানা কারণে পর্যাপ্ত সূর্যের আলোর অভাবে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হয়।
সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-র সেরা উৎস। তবে কিছু খাবার শরীরে এই ভিটামিন বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে। তবে নিরামিষাশীদের এই সমস্যা একটু বেশি। জেনে নিন, নিরামিষ খাবার ভিটামিন ডি-র পরিমাণ বাড়াতে পারেন।
ফোর্টিফাইড দুগ্ধজাত দ্রব্য
ভারতে, দুধ, দই এবং অন্যান্য কিছু খাবার ভিটামিন ডি-তে সমৃদ্ধ। তাই প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ বা এক বাটি দই ভিটামিন ডি বৃদ্ধির একটি সহজ উপায়।
মাশরুম
কিছু মাশরুম সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এসে ভিটামিন ডি তৈরি করে। রোদে শুকানো মাশরুম ভিটামিন ডি-র ভাল উৎস। এগুলিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
উদ্ভিদ-ভিত্তিক দুধ
সয়া, আমন্ড এবং ওটস দুধ প্রায়শই ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম দিয়ে সমৃদ্ধ হয়, যা নিরামিষাশীদের জন্য ভিটামিন ডি-র একটি চমৎকার উৎস।
রাগি
রাগিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আয়রন থাকে। রোদে শুকানো বা অঙ্কুরিত রাগিতেও অল্প পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো এমন একটি ফল যা শুধু সুস্বাদুই নয়, সেই সঙ্গে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও প্রদান করে। এটি স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার এবং ভিটামিন ডি-র মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। যদিও এতে খুব বেশি ভিটামিন ডি থাকে না, তবুও এটি আপনার খাদ্যতালিকায় পুষ্টি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
আমন্ড ও বীজ
আমন্ড, চিয়া বীজ এবং তিসির বীজে ভিটামিন ডি থাকে না, তবে এতে ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকে। শরীরের ভিটামিন ডি শোষণের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।