শরীরে ভিটামিন, খনিজ এবং পুষ্টির প্রয়োজন। এই সমস্ত পুষ্টি উপাদান শরীরে উপস্থিত থাকায় সচল থাকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। মানুষ সুস্থ থাকে। শরীর সহজেই যে কোনও রোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারে। ভিটামিন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। ফলে কী খাচ্ছি তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খনিজ ও ভিটামিন দরকার লাগে শরীরের। দুধে থাকে পরিমিত পুষ্টিগুণ। কিন্তু অনেকেরই দুধে সমস্যা রয়েছে। তাহলে আর কী কী খাবার খেলে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ পাবেন-
জিঙ্ক, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের মতো ভিটামিনও শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট কিছু খাবার খেলে শরীর পায় পর্যাপ্ত ভিটামিন। কিন্তু অনেকেই জানেন না, কোন খাবার থেকে পর্যাপ্ত ভিটামিন পাওয়া যায়! এমনই কয়েকটি খাবারের কথা তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে
ড্রাই ফ্রুটস- নিরামিষাশীদের জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার ড্রাইফ্রুটস। এতে থাকে ভিটামিন। কাজুবাদাম, পেস্তা, কিশমিশে থাকে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ। এজন্য আখরোট, বাদাম, কাজু, আমন্ড এবং অন্যান্য ড্রাইফ্রুটস রাখুন প্রতিদিনের ডায়েটে। ভিটামিনের জন্য কাজুবাদাম একটি দুর্দান্ত বিকল্প। ২৮ গ্রাম কাজুবাদামে দৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ জিঙ্ক থাকে। নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদরোগ,ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসের মতো অনেক বিপজ্জনক রোগ থেকে রক্ষা মেলে।
দুগ্ধজাত পণ্য- দুধ ছাড়া পনীর, মাখন, ঘি ইত্যাদি খুবই স্বাস্থ্যকর। ভিটামিন, খনিজ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। দুধ ভিটামিনের একটি চমৎকার উৎস। সমস্ত দুগ্ধজাত পণ্য, বিশেষ করে দুধ এবং পনীর ভিটামিন সমৃদ্ধ। দুধ এবং পনীরে উপস্থিত ভিটামিন খুব দ্রুত শরীর শোষণ করতে পারে। ১০০ গ্রাম পনীর প্রতিদিনের চাহিদার ২৪ শতাংশ পুষ্টিগুণ পূরণ করতে পারে।
ডিম- ডিম ভিটামিনের অন্যতম উৎস। প্রতিদিন অন্তত একটি ডিম খেলে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দূর হবে। একটি বড় ডিম আপনার প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের যোগান দিতে সক্ষম। এর পাশাপাশি ডিমে রয়েছে ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রচুর ভিটামিন।
শস্য- শস্য যেমন হোল গমের রুটি, কুকিজ এবং ওটমিলে ভিটামিন থাকে। এই খাবারগুলি শরীরের জন্যও খুব উপকারী। প্যাকেটজাত খাবারের চেয়ে শস্যে বেশি ফাইটেট থাকে। পাওয়া যায় প্রচুর জিঙ্ক। এছাড়াও এতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়াম।
এছাড়া যা যা খেলে মেলে ভিটামিন-
ভিটামিন ফলিক অ্যাসিড বি৯ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় ডাল, টক ফল, গাঢ় সবুজ শাকসবজি, বিটরুট, ভুট্টা, ব্রকলি এবং মাছে। পেঁপে, পেয়ারা, স্ট্রবেরি, আম, আঙুর, আনারস, তরমুজ, ব্রকলি, পালং শাক, ফুলকপি, সূর্যমুখী, টমেটো এবং আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এ ছাড়া গমের বীজের তেল, সয়াবিন তেল, ভুট্টার তেল, তিলের তেল, সূর্যমুখী তেল, সূর্যমুখী তেল, পালং শাক, কিউই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই মেলে।
আরও পড়ুন- শীতে এভাবে হলুদ খেলে রোগ থেকে থাকবেন দূরে, ধরে রাখে যৌবনও