প্রশ্নটি বহু পুরোনো। আর উত্তরটাও। না ধুয়ে এক জামা কত দিন পরা যাবে? উত্তর নির্ভর করে অনেক কিছুর ওপরে। ব্যক্তিগত অভ্যাস থেকে শুরু করে আপনার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থানও তা নির্ধারণে ভূমিকা রাখে। কখন কাপড় ধুতে হবে, সেটা ঠিকঠাক না জানলে বিপদ হতে পারে দুদিক থেকেই।
আপনি যদি না ধুয়ে দীর্ঘদিন একই কাপড় পরেন, তাতে আপনার ত্বকের ক্ষতি হবে। এমনকি জীবাণুর সংক্রমণও হতে পারে। অন্যদিকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ধুলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আপনার কাপড়গুলো। সেই সঙ্গে অপচয় হতে থাকবে ওয়াশিং পাউডার, সাবান-সহ আনুষঙ্গিক উপকরণেরও। তাই জানা দরকার, কখন কোন কাপড় ধোয়া দরকার।
এর কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম না থাকলেও মোটাদাগে কিছু বিষয় আছে, যেগুলো মেনে চললে ভারসাম্য রাখা যাবে দুই দিকেই, আপনার ত্বকও থাকবে নিরাপদ। আবার কাপড়ও টিকবে দীর্ঘদিন, অপচয় হবে না উপকরণের।
যেগুলো রোজ ধুয়ে নেবেন
যে কাপড়গুলো সরাসরি আপনার ত্বকের সংস্পর্শে আসে, সেগুলো দিনে দিনে ধুয়ে ফেলাই শ্রেয়। যেমন অন্তর্বাস, মোজা, টাইটস, লেগিংস ইত্যাদি। মোজা না ধুয়ে বারবার পরলে হতে পারে ফাঙ্গাল ইনফেকশন (ছত্রাক সংক্রমণ)। যেসব কাপড়ে ঘামের গন্ধ, দুর্গন্ধ, দাগ বা চোখে পরে এমন ধুলো লেগে থাকে, সেগুলোর ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য। নাহলে হতে পারে জীবাণুর সংক্রমণ। যেসব কাপড় পরে জিমে যান, ব্যায়াম করেন বা খেলতে যান, সেগুলোও ধুতে হবে রোজ।
যেগুলো বারবার পরা যায়
সাধারণ কাপড় বারবার পরা যেতে পারে। তবে সে জন্য কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত স্নান করেন এবং অতিরিক্ত না ঘামেন, তাহলেই সাধারণ জামা-কাপড়গুলো বারবার পরতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, আপনি যে কাপড়গুলো অন্য কাপড়ের ওপরে পরেন, কেবল সেগুলোর ক্ষেত্রেই এই কথা প্রযোজ্য। যেমন শার্ট একাধিক বার পরতে পারেন। তবে অনেকে জামার ভেতরে শার্ট পরেন (আন্ডারশার্ট), সেটা বারবার না পরাই শ্রেয়। আবার যারা অন্তর্বাস এড়িয়ে চলেন, তাঁদেরও শার্ট-প্যান্ট একবার পরেই ধুয়ে ফেলা উচিত।
যেগুলো অনেক দিন না ধুয়ে পরা যায়
আবার কিছু কাপড় অনেক দিন না ধুয়ে পরা যায়। দুই সপ্তাহ, এমনকি এক মাস অবধি, যেমন জিনস। তবে খেয়াল রাখতে হবে, তাতে আপনার ত্বকে কোনো প্রতিক্রিয়া হয় কি না। কোট ও জ্যাকেটের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য। পাশাপাশি মাসে অন্তত একবার ধোয়া উচিত আপনার জুতো। তবে চামড়া জুতো না ধুয়ে রোদে রেখে পালিশ করে নিলেই চলে।
আরও পড়ুন-কাঁচা হোক বা ভাজা, বাদাম খেলেই কমবে প্রেশার, বাঁচবে হার্ট