Water Drinking: দিনে কত গ্লাস জল খাওয়া উচিত? জানুন বিশেষজ্ঞদের মত

জল আমাদের জীবনের জন্য খুবই জরুরি। জল খেলে শুধু তেষ্টা মেটে তা নয়, এটা শরীরকে আদ্র রাখতে সাহায্য করে আর সব ধরনের টক্সিন উপাদানকে শরীর থেকে বাইরে বের হতে সহায়তা করে। কিন্তু অনেকেই এটা জানেন না যে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত জল খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আসুন জেনে নিন জল খেলে ঠিক কী লোকসান হয়। 

কিডনির কাজ
আমাদের কিডনি জলকে পরিশ্রুত করে আর শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থকে শরীর থেকে বাইরে বের হতে সহায়তা করে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জল খেলে কিডনির পর চাপ পড়ে আর কিডনির জন্য কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়ে। অপরদিকে, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম আমাদের শরীরের জন্য খুবই দরকারি। বেশি জল খেলে এই ইলেক্ট্রোলাইটগুলি পাতলা হয়ে যায়। যার কারণে পেশিতে টান এবং দুর্বলতা হতে পারে। 

বেশি জল খাওয়া ক্ষতিকর
বেশি জল খাওয়া আর শরীরের জলের কমতি, দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। জল কম খেলে ডিহাইড্রেশনের বিপদ বেড়ে যায়। যখনই অতিরিক্ত জল খাওয়া হয় তখনই অতিরিক্ত জলশূণ্যতা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ক্রীড়াবিদরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন। কম জল পান করলে পেশিতে টান পড়তে পারে, অন্যদিকে অতিরিক্ত জল খেলে রক্তের ঘনত্ব কমে যায়। 

তেষ্টা পেলে তবেই জল খান
বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃষ্ণা মেটানোর জন্য যতটুকু জল প্রয়োজন, ততটুকুই খাওয়া দরকার। জোর করে জলা খাওয়া ঠিক নয়। বিশেষ করে যদি আপনার জল তেষ্টা না পায়। অতিরিক্ত জল খেলে মাথা ঘোরা, অস্বস্তি এবং কখনও কখনও দ্রুত হৃদস্পন্দন হতে পারে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে জল কম খাবেন। অ্যালকোহন ছাড়া, আমরা যে তরল খাবার খাচ্ছি তাতেও কিছু পরিমাণ জল থাকে। শরীরে জলের ভারসাম্য সঠিক হওয়া প্রয়োজন। তবে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি নয়। তৃষ্ণা পাওয়ার অর্থই হল যে শরীরে জলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই প্রয়োজন বোধ হলে তবেই জল খান। নয়তো জল খাবেন না। বারংবার জোর করে জল খাওয়া ঠিক নয়। 

প্রস্রাবের রং
জলের ঘাটতি মূত্রের রং দেখেও বোঝা যায়। যদি প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হয়, তাহলে বুঝতে হবে শরীরে জলের অভাব রয়েছে। তবে এটি নিরাময়ের জন্য অতিরিক্ত জল পান করা ঠিক নয়। হালকা হলুদ প্রস্রাব স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়।