কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছিল বাংলা সিনেমা 'হাবজি গাবজি'। যেখানে এক বাস্তব সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে। মা-বাবা কর্মরত এবং দুজনেই ক্রমশঃ ব্যস্ত হয়ে যখন পড়ছেন, তখন সন্তানকে সময় দিতে পারছেন না। তারা সেই অপরাধবোধ থেকে ভুগে সন্তানের হাতে তুলে দিচ্ছেন স্মার্ট ফোন। ফলে শিশুরা আসক্ত হয়ে পড়ছে এই স্মার্ট ফোনের। তবে বিভিন্ন কারণে অভিভাবকরা শিশুর হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেন। সেটা নিয়ে সময় কাটাতে কাটাতে মোবাইল ফোনের ওপর শিশুর আসক্তি তৈরি হয়ে যায়। বাইরে খেলতে না গিয়ে শিশু স্মার্টফোন নিয়ে বসে থাকে। খাবার সময়ও তার মোবাইল ফোন চাই। এভাবে চলতে থাকলে শিশুর নানা রকম শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয়ে যায়। তবে সময় থাকতে এই আসক্তি কমিয়ে ফেলু। চাইলেই শিশুর মোবাইল ফোনের আসক্তি দূর করা যায়। চলুন উপায়গুলো দেখে নিই।
শিশুকে ঘরের বাইরে পাঠান
শিশুকে ঘরের বাইরে পাঠানো খুব জরুরি। সে জন্য ওর হাতে এমন খেলনা তুলে দিন, যেগুলো বাইরে গিয়ে খেলতে হয়। যেমন ফুটবল, সাইকেল, ক্রিকেট ব্যাট ইত্যাদি। প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দিন এবং তাদের সঙ্গে খেলতে উৎসাহ প্রদান করুন। বাইরে গিয়ে খেললে তাকে উপহার দিন। সেটা হতে পারে শিশুর পছন্দের খাবার। তাতে সে বাইরে যেতে উৎসাহ পাবে এবং স্মার্টফোন থেকে সরে আসবে।
শিশুর সামনে স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না
শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। বড়দের হাতে স্মার্টফোন দেখলে সেও স্মার্টফোন নিতে আগ্রহ পায়। তাই শিশুর সামনে স্মার্টফোনে চ্যাট করা, গান শোনা, গেম খেলা, ইউটিউবে ভিডিও দেখা ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। খুব বেশি প্রয়োজন হলে আলাদা রুমে গিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করুন। কারও হাতে স্মার্টফোন না দেখলে শিশুও এটার কথা ভুলে যাবে।
সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিন
শিশুকে সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিন। গাছ লাগানো, পাখি পোষা, পাখিকে খাবার দেওয়া, কাগজ কেটে এটা-সেটা বানানো ইত্যাদি কাজে মজা পেয়ে গেলে শিশু মোবাইল ফোনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। তখন সে ওদিকে ফিরে তাকাবে না।
সন্তানকে সময় দিন
অনেক বাবা-মা তার শিশুসন্তানকে সময় দেন না। তার বদলে টিভির সিরিয়ালে, ফেসবুকে কিংবা চ্যাটিংয়ে ব্যস্ত থাকেন। শিশু একাকিত্বে ভুগলে স্মার্টফোনে আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই শিশুকে সময় দিন। তাকে মাঠে নিয়ে যান। এটা-সেটা খাওয়ান। সপ্তাহের একদিন আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসুন। তাতে শিশুর একাকিত্ব ঘুচবে এবং সে ভালো থাকবে।