বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা হল ওজন বেড়ে যাওয়া।বসে বসে কাজ ও অস্বাস্থ্যকর জীবন ধারণের জন্য বাড়ছে মেদও। আর এই বাড়তি মেদ নিয়ে দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই। এই পরিস্থিতিতে কিন্তু কফিই কিন্তু আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। শরীরে বাড়তি মেদ থাকলে নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধার সুযোগ পায়। ওজন কমাতে কফি বেশ সাহায্য করে। তবে হ্যাঁ, দুধ-চিনি মেশানো সুস্বাদু কফি নয়, সমাধান সূত্র লুকিয়ে রয়েছে ব্ল্যাক কফিতে। অনেকেই ব্ল্যাক কফি খেতে এমনিই পছন্দ করেন। সেটা যে ওজন কমার ক্ষেত্রেও দারুণভাবে কার্যকর তা জানলে হয়ত বেশি করে ব্ল্যাক কফি খেতে শুরু করে দেবেন।
ব্ল্যাক কফি যাঁরা পছন্দ করেন তাঁরাই আসল কফি প্রেমিক। কারণ কফির স্বাদ একমাত্র পাওয়া যায় কালো কফিতেই। আর ওজন কমাতেও কালো কফির জুড়ি মেলা ভার। সেই সঙ্গে শরীরও থাকে চনমনে। হার্টের রোগী বা ডায়াবেটিস রয়েছে যাঁদের, তাঁদের চিনি ছাড়া কালো কফি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
ব্ল্যাক কফিতে ক্যালোরি নেই
এককাপ কালো কফিতে ক্যালোরির পরিমাণ মোটে ২। ডিক্যাফেইনেটেড বীজ থেকে বানানো হলে তাতে আবার একেবারেই ক্যালোরি থাকে না। এছাড়াও ব্ল্যাক কফিতে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কখন খাওয়া উপকারী
রাতের খাবার খাওয়ার পরে এককাপ ব্ল্যাক কফি খেলে শরীরে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড গ্লুকোজ উৎপাদনে বাধা দেয়। ফলে নতুন ফ্যাট কোশও তৈরি হয় না।
আর তাতেই আপনার ওজন ও মেদ কমবে তরতরিয়ে।
কীভাবে খেলে কমবে চর্বি
দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে কফির মধ্যে লেবু-মধু মিশিয়ে খেতে পারেন সন্ধ্যাবেলায়। কফির সঙ্গে মধু আর লেবুর রস মেশালে হজম ভালো হয়। মধুর বদলে ব্রাউন সুগারও ব্যবহার করতে পারেন।
খালি পেটে খাবেন না
তবে খালি পেটে বা সকালে ব্ল্যাক কফি না খাওয়াই ভাল। অপরদিকে, যাঁদের রাতে ঘুমের সমস্যা রয়েছে তাঁরাও ব্ল্যাক কফি এড়িয়ে চলুন।