বর্তমান জীবনযাত্রায় ওজনবৃদ্ধি মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণে থাকছে না ওজন। বিশেষ করে পেটের মেদ বেড়েই চলেছে। এমন অনেকে রয়েছেন যাঁরা ডায়েট করেও ওজন কমাতে পারছেন না! শরীরচর্চা করেও কাজ হচ্ছে না। আবার অনেকের শরীরচর্চা করার সময় নেই। এই অবস্থায় ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। আর ডায়েটে একটি ডিমই যথেষ্ট ওজন কমানোর জন্য।
ডিম পুষ্টিগুণে ঠাসা। কম ক্যালোরি। ফলে শরীরে ওজন বাড়ে না। উপরন্তু থাকে বিবিধ পুষ্টিগুণ। এতে রয়েছে উচ্চ গুণের প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি ও বি। পুষ্টিবিদরা বলছেন,ডিমে থাকা কোলিন নামে উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি। ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম- এই দুইয়ে থাকে প্রোটিন। কুসুমে ফ্যাট, ভিটামিন ও খনিজও মেলে। ডিমে কী কী পুষ্টিগুণ থাকে-
ডিম কখন খাওয়া উচিত?
ওজন কমানোর ডায়েট শুরু হয় সকাল থেকেই। ব্রেকফাস্টে ডিম খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। প্রাতরাশে ডিম রাখলে শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিনের জোগান পায়। ডায়াবেটিসে আশঙ্কাও কমে। সমীক্ষা বলছে, সম ক্যালোরির খাবারের তুলনায় ডিম অনেক বেশি উপকারী। হু হু করে কমায় ওজন। তাই সকালে ব্রেকফাস্টে পাতে রাখুন ডিম। ৮ সপ্তাহের মধ্যে ওজন কমবে। তবে শুধুই ডিম খাবেন না। সেই সঙ্গে ফল ও ওটস রাখুন। সকালে ডিমের সঙ্গে ওটস ও ডালিয়া খেতে পারেন। এতে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে। চটজলদি খিদে পায় না। ফলে শরীরে কম ক্যালোরি প্রবেশ করে। ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।
সকালে আর যা যা করবেন- ঘুম থেকে উঠেই জলপান- ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস জল খাওয়া উচিত। প্রাতরাশের আগে অন্তত দুগ্লাস জল খেয়ে নিন। এতে শরীরের হজমপ্রক্রিয়া সঠিক থাকে।
মিষ্টি খাবার থেকে দূরে থাকুন- সকালে উঠে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিন। চিনি রয়েছে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। সেই জায়গায় ডিম খান। আর চা-কফি এড়িয়ে চলুন। একান্ত খেতে হলে চিনি ছাড়া খান।
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার- ডিমের সঙ্গে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার জরুরি। এজন্য ওটস রাখুন ডায়েটে।
গ্রিন টি- সকালে উঠে চা-কফি খাওয়ার চেয়ে গ্রিন টি খান। গ্রিন খেলে মেদ ঝরে।
আরও পড়ুন- শত চেষ্টায় কমছে না কোলেস্টেরল? গলিয়ে দেবে মাত্র ২ টাকার দাওয়াই