Weight Loss Diet Plan : মোটা হওয়া আজ দ্রুত বাড়তে থাকা রোগগুলির মধ্যে একটি। এর সবচেয়ে বড় কারণ অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাস। শুধুমাত্র ভারতেই ১৩৫ মিলিয়ন মানুষ মোটা হওয়ার ভুগছেন। ওজন যদি বেড়ে যায় এবং স্থূলতার শিকার হন, তাহলে আজ থেকেই ৩০-৩০-৩০ ফর্মুলা গ্রহণ করা উচিত। এই সূত্রটি এতটাই কার্যকর যে এক মাসে শরীরের মেদ কমিয়ে আকারে আনতে পারে। এটি অবলম্বন করলে স্থূলতা নিরাময় করা যায় এবং ফিগার ঠিক রাখা যায়। জানুন এই সূত্রটি কী এবং কীভাবে এটি এত উপকারী।
ক্যালোরি কমাতে
যদি ওজন কমাতে চান তবে প্রথমে ক্যালোরি কমিয়ে নিন। ৩০-৩০-৩০ সূত্রটিও এটির উপর ফোকাস করে। এই নিয়ম অনুসারে, যদি দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেন, তবে এটি ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার মোট দৈনিক শক্তি ব্যয় হয় ২,০০০ ক্যালোরি, তাহলে আপনাকে প্রায় ১,৪০০ ক্যালোরি গ্রহণের লক্ষ্য রাখতে হবে।
আহার উপভোগ করুন
শরীরের জন্য খাবার যতটা জরুরি, চিবানোও ততটাই জরুরি। খাবার চেখে ও চিবিয়ে খাওয়ার পরই খেতে হবে। একটি নিয়ম হিসাবে, প্রতিটি কামড় খেতে এবং স্বাদ নিতে কমপক্ষে ৩০ মিনিট সময় নিন। এই প্রক্রিয়াটিকে মননশীল খাওয়া বলা হয়। এটি হজমশক্তিকে সুস্থ করে তোলে এবং দ্রুত ওজন কমায়। মনে রাখবেন খাওয়ার সময় টিভি বা মোবাইল দেখা উচিত নয়।
ব্যায়াম করতে ভুলবেন না
ব্যায়াম ফিটনেস এবং স্বাস্থ্য উভয়ই উন্নত করে। এটি ওজন কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। এটি করা ক্যালোরি বার্ন এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এর জন্য আপনি হাঁটা, সাইক্লিং, সাঁতার এবং শক্তি প্রশিক্ষণ করতে পারেন।
ওজন কমানোর সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন
- ওজন কমানোর পরিকল্পনা শুরু করার আগে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
- ওজন কমাতে ক্যালরি নিয়ন্ত্রিত খাদ্য গ্রহণ করুন।
- কার্ডিও এবং শক্তি প্রশিক্ষণ একত্রিত করে প্রতিদিন ওয়ার্কআউট করুন।
- এছাড়াও খাবার, ফল, শাকসবজি এবং চর্বিহীন প্রোটিনের দিকে মনোযোগ দিন।
- জল খেতে থাকুন এবং পর্যাপ্ত ঘুম পান।
- ইন্টারমিটেন্ট উপবাসও করতে পারেন।