পিৎজা, বার্গার খেয়েও তন্বী। ওজন কমানোর টোটকা কী? আট থেকে আশি সকলেই পরামর্শ দেবেন, প্রতিদিন শারীরিক কসরত, ভাল ঘুম আর স্বাস্থ্যকর খাবার। সেই সঙ্গে জেলেভাজা, নরম পানীয়, মিষ্টি না খাওয়া। আচ্ছা, বিয়ার, পিৎজা, চিপস, বার্গার খেয়েও কি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়? প্রশ্ন শুনেই যে কেউ বলবেন, ঠাট্টা করছেন, এও আবার হয় নাকি! সেটাই করে দেখিয়েছেন এক ফিটনেস প্রশিক্ষক। ফিট থাকতেই তিনি পিৎজা, বার্গার খান। আর এতে ওজনও বাড়ে না। অবাককাণ্ড তাঁর পেটে খোদাই অ্যাবসও আছে। তাহলে কীভাবে ওজনকে বশে রাখেন তিনি?
বার্গার-বিয়ার খেয়েও ওজন কমিয়েছেন ফিটনেস প্রশিক্ষক নাম লিজ হাই। ২১ বছর বয়সী লিজ হাই ব্যক্তিগত প্রশিক্ষকের কাজ করেন। থাকেন লন্ডনে। 'দ্য মিরর'-কে লিজ জানিয়েছেন, ওজন কমাতে এবং শরীরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোনও খাবার বাদ দেওয়ার দরকার নেই। বলে রাখি, লিজ হাই ইনস্টাগ্রামে 'লিজ বাইটস ব্যাক' নামে একটি পেজও চালান। সেখানে প্রতিদিন শরীরচর্চা সম্পর্তে আপডেট দেন। লিজ হাই-এর মতে, ফিট থাকার জন্য দেদার চিপস, বার্গার খান। এমনকি বিয়ারও পান করেন। কোনও ডায়েট অনুসরণ করেন না।
ওজম কমাতে গিয়ে বিপত্তি
লিজ হাইয়ের মতে, যাঁরা দ্রুত ওজন কমাতে চান তাঁরা বিভিন্ন ডায়েট কৌশল অনুসরণ করেন। দ্রুত ওজন তো কমে। তবে স্বাভাবিক ডায়েটে আসলে যে-ই কে সেই। আবার আগের মতো হয়ে যাযন তাঁরা।
ক্যালোরি কমানোই মূল মন্ত্র
হঠাৎ করে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে কোনও লাভ হয় না। তাই ধীরে ধীরে ক্যালোরি কমানোর পক্ষপাতি লিজ। তাঁর কথায়,'খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন না করে ফল পাওয়ার চেষ্টা করা দরকার। ওজন কমানোর জন্য ক্যালোরির ঘাটতি রাখুন। যদি আপনার শরীরের ২০০ ক্যালরির প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি তার চেয়ে কম খান। ওজন কমানোর সবচেয়ে টোটকা ক্যালোরির ঘাটতি। আর কেউ যদি বিয়ার, চিপস এবং বার্গার খেয়ে তা অর্জন করতে পারে তাহলে ক্ষতি কী! ক্যালোরির ঘাটতিই ওজন কমানোর মূল রহস্য। না খেয়ে সেটা অর্জন করা যায় না।'
লিজ হাই মনে করেন, নেট মাধ্যমে ডায়েট সংক্রান্ত যে সব তথ্য তুলে ধরা হয় তা আদতে তরুণদের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। ওঁরা কাউকে দেখে ডায়েট করার চেষ্টা করেন যার পরিণিতি ভয়ঙ্কর। তাঁর নিজেরও ইটিং ডিসঅর্ডার ছিল। নেট মাধ্যমে ডায়েট তালিকা দেখে তা আরও বিগড়ে যায়। সিক্স প্যাক অ্যাবস সম্বৎসর রাখা কঠিন। অথচ সেটাই করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। আজকাল মহিলাদের মধ্যে স্লিম আর পুরুষদের ভি শেপ করার একটা প্রবণতা শুরু হয়েছে। এটা তিনি ভাঙতে চান বলে জানিয়েছেন লিজ। নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দূরে থাকাই শ্রেয় বলে মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়,'এসব ভাবনা দেখলে স্রেফ এড়িয়ে যাও। আসলে যাঁরা শরীর চর্চার বিজ্ঞাপন দেন তাঁরা প্রচুর অর্থ পান। ওঁদের পরামর্শ মেনে অবাস্তব খাবার-দাবার না খাওয়াই ভাল।'
আরও পড়ুন- বাংলায় মিড ডে মিল সঙ্কটে স্কুলগুলি, বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি