ওজন কমানো মানেই কঠোর ডায়েট বা জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরানো নয়, এ কথাই প্রমাণ করেছেন মার্কিন পুষ্টিবিদ ও লাইফস্টাইল কোচ এরিন গিরোয়ার্ড (Erin Girouard)। ইনস্টাগ্রামে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে এরিন জানিয়েছেন, মাত্র কয়েকটি সহজ অভ্যাস বদলেই তিনি ৩৪ কেজি (৭৫ পাউন্ড) ওজন কমাতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর মতে, ছোট ছোট পরিবর্তনই ওজন কমানোর বড় চাবিকাঠি।
এরিন বলেন, 'আপনি যদি হ্যালোউইনের আগেই প্যান্টের সাইজ কমাতে চান, তাহলে জীবনযাত্রায় এই ১০টি সহজ অভ্যাস যোগ করুন।'
নীচে রইল এরিনের ওজন কমানোর ১০টি কার্যকর টিপস:
১️. ক্যালোরি ঘাটতি তৈরি করুন , হঠাৎ করে খাবার খুব কমাবেন না। প্রতিদিনের ক্যালোরি ইনটেক থেকে সামান্য কমিয়ে আনুন। এতে ক্লান্তি আসবে না এবং ওজন কমবে ধীরে ধীরে, স্থায়ীভাবে।
২️. ফাইবার বাড়ান, প্রতিদিন অন্তত ২৫ গ্রাম ফাইবার নিন। এটি খিদে নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তে শর্করা স্থিতিশীল রাখে।
৩️. জল পান করুন, পর্যাপ্ত জল শরীরে জলীয় ভারসাম্য রক্ষা করে এবং অপ্রয়োজনীয় খিদে কমায়।
৪️. খাবার ট্র্যাক করুন, প্রতিদিন কী খাচ্ছেন তা নোট করুন। এতে নিজের খাদ্যাভ্যাস বোঝা সহজ হবে এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি এড়ানো যাবে।
৫️. প্রোটিন খাবার, প্রতিদিন অন্তত ১২০ গ্রাম প্রোটিন নিন। এটি পেশী বৃদ্ধি করে এবং মেটাবলিজম ত্বরান্বিত করে।
৬️. ভালো ঘুম নিশ্চিত করুন, রাতে অন্তত ৭–৯ ঘণ্টা ঘুমান। ঘুমের অভাব খিদের হরমোন বাড়ায় এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা তৈরি করে।
৭️. নিয়মিত ব্যায়াম করুন, সপ্তাহে তিন দিন স্ট্রেংথ ট্রেনিং ও দু’দিন HIIT ওয়ার্কআউট করুন। এটি শরীর টোন করে ও ফ্যাট বার্নে সাহায্য করে।
৮️. প্রতিদিন হাঁটুন, প্রতিদিন অন্তত ৭,০০০–১০,০০০ পদক্ষেপ হাঁটুন। খাবারের পর হালকা হাঁটা হজমে সহায়ক।
৯️. মানসিক চাপ কমান, ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন এবং মোবাইলে অতিরিক্ত সময় না কাটান। স্ট্রেস ওজন কমানোর সবচেয়ে বড় বাধা।
১০. খাবারের সিদ্ধান্তে সচেতন হোন, হঠাৎ করে অস্বাস্থ্যকর কিছু খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। সচেতনভাবে খাবার বেছে নিন।
এরিনের মতে, 'ওজন কমানো একটা যাত্রা, দৌড় নয়। নিজের প্রতি ধৈর্য ধরুন, প্রতিদিনের ছোট পরিবর্তনই আপনাকে বড় ফল দেবে।'