scorecardresearch
 

Weight Loss Tips: কড়া ডায়েট ও শরীরচর্চা ছাড়াই কমান ওজন, রইল ৫ সেরা উপায়

সময়ের অভাব এবং ডায়েটিং না করতে পারলেও ওজন কমতে পারে। সেজন্য কয়েকটি সহজ উপায় অবলম্বন করা জরুরি। হেলথলাইনের খবর অনুযায়ী,খাওয়া-দাওয়ার পদ্ধতি ওজন নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী। এমনভাবে খেতে হবে যাতে কম ক্যালোরি যায় শরীরে, সেই সঙ্গে অনেকক্ষণ পেটও ভরা থাকে যাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ডায়েট ও শরীরচর্চা ছাড়া ৫ উপায়ে কমানো যেতে পারে ওজন। 

Advertisement
ওজন নিয়ন্ত্রণে ৫ টিপস। ওজন নিয়ন্ত্রণে ৫ টিপস।
হাইলাইটস
  • ওজন কমাতে গেলে দরকার ডায়েট ও শরীরচর্চা।
  • কড়া ডায়েট না করেও কমানো যায় ওজন।

শীতে উল্টো-পাল্টা খাওয়ায় বেড়ে গিয়েছে ওজন? অথচ কিছুতেই কমাতে পারছেন না! ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে খাবার ও শরীরচর্চার উপর নজর দিতে হয়। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ এবং নিয়মিত ওয়ার্কআউটের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ করেন অনেকে। তবে বেশিরভাগই তা পারেন না। কারণ ব্যস্ত জীবন। সময়ের অভাব। ফলে জিমে গিয়ে ওয়ার্কআউট করা সম্ভব হয় না। বাড়তে থাকে শরীরের মেদ। ওজন বৃদ্ধি রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ক্রমবর্ধমান মেদ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি।

সময়ের অভাব এবং ডায়েটিং না করতে পারলেও ওজন কমতে পারে। সেজন্য কয়েকটি সহজ উপায় অবলম্বন করা জরুরি। হেলথলাইনের খবর অনুযায়ী,খাওয়া-দাওয়ার পদ্ধতি ওজন নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী। এমনভাবে খেতে হবে যাতে কম ক্যালোরি যায় শরীরে, সেই সঙ্গে অনেকক্ষণ পেটও ভরা থাকে যাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ডায়েট ও শরীরচর্চা ছাড়া ৫ উপায়ে কমানো যেতে পারে ওজন। 

১। খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাওয়া-খাবার সবসময় ধীরে ধীরে খান। সেই সঙ্গে ভাল করে চিবোন। এই পদ্ধতিতে শরীরে কম খাবার প্রবেশ করে। আবার খিদেও মেটে। যা ওজনকে প্রভাবিত করতে পারে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে,ধীরে ধীরে যাঁরা খান তাঁদের ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেলে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে। 

২। খাবারের জন্য ছোট প্লেট ব্যবহার- প্লেট যত বড় থাকে তত বেশি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ওজন কমাতে চাইলে খাবারের প্লেটের আকার কমিয়ে দিন। খাবারের সময় একটি ছোট প্লেট ব্যবহার করুন। যা কম খেতে সাহায্য করতে পারে। ছোট প্লেটে খাবার বেশি দেখায়। তার মানসিক প্রভাব পড়ে। অন্যদিকে, বড় প্লেটে বেশি খাবারও কম দেখায়। ফলে অনেকটা খেয়ে নিতে পারেন। 

৩। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ খেলে খিদে কমে। দীর্ঘ সময় খিদে পায় না। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ডায়েটে বেশি ফাইবার থাকলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। দীর্ঘ সময় ধরে খিদে পায় না। ভিসকোস এমন একটি ফাইবার যা জলের সংস্পর্শে এলে এক ধরনের জেল তৈরি করে। এই জেল পুষ্টির শোষণের সময় বাড়ায়। পেট খালি করার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। ভিসকোস ফাইবার থাকে মটরশুটি, ওটস, স্প্রাউট, কমলা এবং তিসির বীজে।

Advertisement

৪। ডায়েটে প্রোটিন- প্রোটিন খেলে খিদে কম পায়। প্রোটিন খেলে শরীরে কম ক্যালোরি ঢোকে। প্রোটিন বেশ কিছু হরমোনকেও প্রভাবিত করে যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেট থাকে ভরা। সকালের খাবারে বাদাম, ছোলা খান। ডিমেও থাকে প্রোটিন।  
 
৫। খাওয়ার আগে জল- পানীয় জলও ওজন কমাতে সাহায্য করে। খাওয়ার আগে জলপান করলে মেদ কমে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাবার খাওয়ার প্রায় ৩০মিনিট আগে আধা লিটার জলপান করলে খিদে কমে যায়। কমে ক্যালোরি গ্রহণ। গবেষণায় যে সব অংশগ্রহণকারী জল খাননি, তাঁদের তুলনায় যাঁরা জল খেয়েছেন তাঁদের ওজন কমেছে ৪৪%। সোডা বা জুসের জায়গায় তাই নিয়ম মেনে জল খান। 
 

আরও পড়ুন- গ্রামবাংলার এই বীজে হু হু করে কমে ওজন, তবে এভাবে না খেলে পুষ্টি পাবেন না

Advertisement