যাঁরা ওজন কমাতে চান তাঁদের অনেকেই হাঁটেন বা দৌড়ান। অথচ তারপরও ফল মেলে না। কেন ? জিম ইনস্ট্রাকটারদের মতে, হাঁটতে হবে ঠিকই তবে নিয়ম মেনে। কী সেই নিয়ম? কীভাবে বা কত স্পিডে হাঁটবেন? আসুন জানি।
১) জিম ইনস্ট্রাকটারদের মতে, রোজ ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত হাঁটা-চলা জরুরি। তবে এর থেকে কম হাঁটলে ১০ মিনিট পর্যন্ত স্পিড ওয়াক প্রয়োজন। সঠিক পদ্ধতিতে হাঁটাহাঁটি করা গেলে প্রতিদিন ৫০০ ক্যালোরি বার্ন হয়। আবার বিরতি না নিয়ে যদি ঘণ্টায় ৪ থেকে ৫ মাইল হাঁটা যায়, তাহলে মেদ ঝরবেই।
২) এবার আসি রানের প্রসঙ্গে। মেদ ঝরানোর জন্য নিয়মিত আপনাকে ১০ কিলোমিটার দৌড়তে হবে। ধীর গতিতে দৌড়লেও চলবে।
৩) আবার লং রানও করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, লং রান বা স্লো রান যেটাই করুন না কেন, সেটাই নিয়মিত মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন : রাজ্যেও 5G পরিষেবা, খরচ কেমন-১৫ অগাস্টই লঞ্চ করবে Jio ?
৪) বিরতি দিয়েও দৌড়তে পারেন। প্রথমে আপনাকে ০.৫ মাইল মতো দৌড়ে তারপর জগিং করুন। ৪০০ থেকে ৫০০ মিটার জগিং করতে পারেন।
এ প্রসঙ্গ বলে রাখা ভালো হাঁটলে বা দৌড়লে শুধু যে ওজন কমবে তাই নয়, আপনার হার্টকেও সুস্থ রাখবে। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ মিনিট দৌড়লে আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে। হার্টের সমস্যা হওয়ার ৪৫ শতাংশ ঝুঁকি কমে যায়।
যাঁদের ব্লাড সুগার বেশি, তাঁদের জন্যও হাঁটা বা দৌড়ানো লাভজনক। আবার চিকিৎসকরা জানান, বয়স্কদের হাঁটা চলা বা দৌড়ানো উচিত। তাহলে তাঁদের পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কারণ, হাঁটলে বা দৌড়লে পায়ের পেশি শক্ত হয়। হাঁটুর ব্যথা কমে।
আবার হজমের জন্য খাওয়ার পর হাত দুই পাশে সোজা রেখে হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। মনে রাখবেন খাওয়ার পর হাঁটার সময় হাত দুলিয়ে দুলিয়ে চলবেন।