scorecardresearch
 

পুজোয় বাইরের খাবার খেয়েও কীভাবে ওজন কম রাখবেন, ফিট থাকবেন?

এখন প্রশ্ন হল, পুজোর সময় কি কোনওভাবে হেলথি খাবার খেতে পারি না? যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে তা কীভাবে সম্ভব? পুজো মানেই প্যান্ডেল হপিং মাস্ট। অনেকে সকাল সকাল বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন ঠাকুর দেখতে। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা যান। বা অন্য জায়গার মানুষের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

Advertisement
ডায়টেশিয়ান রোজি সাহা ডায়টেশিয়ান রোজি সাহা
হাইলাইটস
  • প্যান্ডেল হপিং মানেই প্রচুর ঘোরাঘুরি বা হাঁটাহাঁটি
  • তাই  এনার্জিতে ভরপুর থাকা দরকার
  • সেজন্য প্লেন জল, ডাবের জল, লেবু জল খেতে পারেন

বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। সারা বছর এই ৫ দিনের জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকি। ক্লান্তি-অবসাদ ভুলে পুজোর আনন্দে সামিল হয়ে থাকি। আমাদের লক্ষ্যই থাকে, পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা হওয়া। 

পুজোয় আড্ডা বসে। প্যান্ডেল হপিং করি আমরা। এখানে সেখানে খেতে যায়। নিমন্ত্রণ রক্ষা করি। স্বাভাবিকভাবেই এই দুর্গাপুজোও যেন পেটপুজোর একটা মাধ্যম হয়ে ওঠে। এমনিতে আমরা সারাবছর ঠিক সময়, মেপে খাওয়া দাওয়া করলেও পুজোর কটা দিন তা আর হয়ে ওঠে না। বছরের বাকি দিনগুলোতে ডায়েট মেনে চললেও এই ৫ দিন খাওয়া-দাওয়ার কোনও বাধা-নিষেধ রাখতে পারি না।   

এখন প্রশ্ন হল, পুজোর সময় কি কোনওভাবে হেলথি খাবার খেতে পারি না? যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে তা কীভাবে সম্ভব? পুজো মানেই প্যান্ডেল হপিং মাস্ট। অনেকে সকাল সকাল বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন ঠাকুর দেখতে। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা যান। বা অন্য জায়গার মানুষের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। 

এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে পুজোর কটা দিন হেলথি খাবার খেতে গেলে বাড়ি থেকে ব্রেকফাস্ট করে বেরনো সব থেকে ভালো অপশন। সেটা যে কোনও হেলথি ব্রেকফাস্ট হতে পারে। যেমন, ওটমিল, দই চিড়ে, প্লেন ব্রেড টোস্ট, স্ক্র্যম্বল এগ। এর সঙ্গে যে কোনও একটা ফলও মরসুমি ফলও খেতে পারেন। 

প্যান্ডেল হপিং মানেই প্রচুর ঘোরাঘুরি বা হাঁটাহাঁটি। তাই  এনার্জিতে ভরপুর থাকা দরকার। সেজন্য প্লেন জল, ডাবের জল, লেবু জল খেতে পারেন। এই পানীয়গুলো  আমাদের শরীরকে হাইড্রেট রাখে আবার খিদেও বাড়াতে সাহায্য করে। মনে রাখবেন, বাজারে যে পানীয়গুলো বিক্রি হয়, সেগুলো থেকে বাঁচতে ডাবের জল, প্লেন জল বা লেবু জল খেতে থাকুন। এতে আপনারই শরীর ভালো থাকবে। 

Advertisement

এবার আসি লাঞ্চ ও ডিনারের কথায়। মেন কোর্সের খাবার অর্ডার করার আগে ঠিক করে নিন লাঞ্চ না ডিনার-কোনটা হেবি করবেন। সেই মতো অর্ডার করুন। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যেখানে খেতে গেছেন বা অর্ডার করেছেন সেই রেস্তরাঁ যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়। এদিকটায় বিশেষভাবে নজর দিন। 

মেন কোর্সের সঙ্গে সাইড ডিশ হিসেবে স্যালাড রাখতে পারেন। সঙ্গে স্যুপও। পানীয় বা মিষ্টি অর্ডার দিতেই পারেন। কিন্তু সুগার ফ্রি হলে ভালো। 

আর একটা বিষয় মাথায় রাখুন। খাবারে তন্দুরি, রোস্ট বা গ্রিলড অর্ডার করতে পারেন। এগুলো ক্ষতি কম করে। এই সব খেয়ে টেস্টি খাবারও পাবেন আবার শরীরও ভালো থাকবে। 

এইসব ছোটোছোটো বিষয়গুলো মেনে চলতে পারলে পুজোর পরও আপনার স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে। দ্রুত ওজন বাড়বে না বা শরীরের অন্য কোনও অসুবিধে হবে না। 
 

 

Advertisement