পুজোর সময় লম্বা ছুটি পাবেন সরকারি কর্মীরা। তবে সবাই তো পাবেন না। অনেকের আবার বাজেটও অল্প। তাই পুজোর মাঝেই ১ বা ২ দিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন ৩ জায়গায়। সেখানে যাওয়ার খরচও কম। মাত্র ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। আপনি বাইকে যেতে পারেন আবার বাসে বা ট্রেনেও। তাহলে নামমাত্র খরচে কেন যাবেন না এই ৩ গন্তব্যে? আসুন দেখে নিই।
কেল্লার মাঠ : কেল্লার মাঠ ডায়মন্ডহারবারে অবস্থিত। হুগলি নদীর ধারে অবস্থিত এই মাঠের চারপাশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়া। সাধারণত শীতের সময় এখানে ভিড় হয়। তবে পুজোর সময় থেকেই এখানে পর্যটকদের মরসুম শুরু হয়ে যায়। এখানে রয়েছে থাকার জায়গাও। যদি পরিবার নিয়ে যান তাহলে স্টে করতে পারেন। ভিতরে ১৫০-২০০ জনের বসে খাওয়ার জায়গা রয়েছে। আবার এই কেল্লার মাঠ থেকেই আপনি যেতে পারেন বকখালি ঘুরে আসতে পারেন।
কীভাবে যাবেন? উত্তরবঙ্গ বাদে রাজ্যের যে প্রান্তেই আপনার বাড়ি হোক না কেন বাসে বা ট্রেনে একদিনের জন্য ঘুরে যেতেই পারেন এই টুরিস্ট স্পট। খরচ ৫০০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। তবে আপনি ওযদি রাত্রিবাস করেন বা পরিবার নিয়ে যান তাহলে খরচ বাড়তে পারে।
শান্তিনিকেতন : কাছে পিঠে বেড়াতে যাওয়ার অন্যতম গন্তব্য শান্তিনিকেতন। পুজোর অন্তত একটা দিন ব্যস্ততা ঝেড়ে ফেলে যেতে পারেন শান্তিনিকেতন। কলকাতা থেকে বা দক্ষিণবঙ্গের জেলা থেকে গেলে বাসে বা ট্রেনে যেতে পারেন। সময় লাগতে পারে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা।
শান্তিনিকেতনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নিরিবিলি পরিবেশই হল এখানকার সব থেকে বড় আকর্ষণ। এছাড়াও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি, সোনাঝুরি, খোয়াই দেখেতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে আশপাশে আদিবাসী গ্রাম। সেগুলোও ঘুরে দেখতে পারেন।
শান্তিনিকেতনে থাকার খরচ খুব বেশি নয়। সস্তার হোটেল পাওয়া যায়। রয়েছে দামী হোটেলও। ৫০০ টাকা খরচ করলেই সস্তার হোটেলে পেয়ে যাবেন। শান্তিনিকেতনে কিছু ট্রাডিশনাল বাঙালি রেস্তরাঁ আছে। সেখানে খাওয়া দাওয়া সারতে পারেন।
দিঘা : দিঘা তো এখন সব থেকে কাছের আর বাঙালির প্রিয় এক টুরিস্ট স্পটে পরিণত হয়েছে। সাবা বছরই এখানে পর্যটকরা থাকেন। বাসে, ট্রেনে বা নিজের গাড়িতে কলকাতা থেকে দিঘা পৌঁছতে পারেন মাত্র মাত্র কয়েক ঘণ্টায়। ট্রেন, সাধারণ বাস, এসি বাস সব রয়েছে এই গন্তব্য যাওয়ার জন্য। যেভাবেই যান না কেন ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার বেশি সময় লাহবে না।
একদিনের জন্য খরচ মাত্র ৫০০ টাকা। পরিবার নিয়ে গেলে আলাদা খরচ। দিঘায় থাকার হোটেল রয়েছে। সেই সব হোটেলে থাকতে পারেন নামমাত্র খরচে।
দিঘাতে রয়েছে সুদীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। এছাড়াও এখান থেকেই যেতে পারবেন মন্দারমণি, তাজপুর, শংকরপুর ইত্যাদি। দিঘা থেকে এই জায়গাগুলোতে যেতেও খরচ অল্প। লোকাল বাসে আপনি সহজেই যেতে পারবেন। তাহলে খরচ বাঁচলে। এছাড়াও রয়েছে টোটো বা অটো।