ফাইল ছবি।ভারাক্রান্ত মনে জাঁকিয়ে বসেছে অবসাদ৷ পৃথিবীতে কিছুই আর ভাল লাগছে না৷ বিনা কারণে পেয়ে বসেছে একরাশ বিরক্তি৷ নতুন কোনও ইচ্ছে নেই, নেই কোনও উদ্যম৷ মনোবিদের পরামর্শেও কোনও লাভ হচ্ছে না৷ এমন সময় কাজে লাগতে পারে কেবল মাশরুমের জাদু৷ যেমন-তেমন মাশরুম নয় এ হচ্ছে ম্যাজিক মাশরুম৷ গোমড়া মুখে হাসি ফোটাতে এটাই গবেষক-চিকিৎসকদের নয়া অস্ত্র৷
হ্যালুজেনিক মাশরুমে থাকা একটি বিশেষ পদার্থ সিলোসিবিন দিয়ে তৈরি করা ওষুধ মাত্র ১২ সপ্তাহেই তীব্র মানসিক অবসাদ কমাতে সক্ষম, একটি ট্রায়ালে বা প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উঠে এসেছে এ তথ্য। যদিও শেষ পর্যন্ত এই ওষুধ কতোটা কার্যকর হবে সে নিয়ে এখনও আছে নানা দ্বিধা ও প্রশ্ন।
গবেষকদের দাবি, সিলোসিবিন দ্বারা তৈরি ২৫ মিলিগ্রামের একটি ট্যাবলেট মানসিক অবসাদ আক্রান্ত মানুষকে নিয়ে যেতে পারে স্বপ্নের পর্যায়ে। যা সাইকোলোজিকাল থেরাপির চেয়ে বেশ কার্যকর। তবে এর স্বল্প মেয়াদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও ভীতিকর হতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই এখনই ওই ওষুধের ব্যবহার করা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনো এই ওষুধের ব্যাপারে দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার আছে।
বিভিন্ন বৈশ্বিক প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বজুড়ে ১০ কোটির বেশি মানুষ তীব্র মানসিক অবসাদে ভোগেন, প্রচলিত চিকিৎসায় যাদের কোনো কাজ হয় না। এমন রোগীদের ৩০ শতাংশ আবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। কয়েক বছর ধরে বিজ্ঞানীরা মানসিক অবসাদ কমাতে সিলোসিবিনের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এতে ভালো ফলও মিলছে। তবে সেই কার্যকরিতা খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী নয়। তাই শেষ পর্যন্ত এই ‘ম্যাজিক মাশরুম’ মানসিক অবসাদ সারাতে কতোটা কার্যকর হবে, সে বিষয়টি এখনও প্রশ্ন সাপেক্ষ।
বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৫০ ধরনের ম্যাজিক মাশরুম রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই পাওয়া যায় ইউরোপ ও আমেরিকায়। 'ম্যাজিক মাশরুম' মূলত মাদক হিসেবে ব্যবহার করা হত। মাশরুমটা যেকারণে নিষিদ্ধ। এই মাশরুম ভাঙার পর বিভিন্ন রঙ ধারণ করে। কখনও লাল, কখনও নীল-সহ নানা রঙ হয়, যা সাধারণ মাশরুমে হয় না।
আরও পড়ুন-আঙুল দেখেই বোঝা যাবে টাক পড়বে কি না, মিলিয়ে নিন