ওজন বেড়ে যাওয়া, ডায়াবেটিসের ভয়ে অনেকেই সচেতনভাবে চিনি খান না। তবে এটা সত্যি যে সুস্থ থাকতে জীবন থেকে চিনি খাওয়া বাদ দেওয়াই ভাল। মিষ্টি না খেলে ওজন ঝরানো সহজ হয়ে যায়। তবে মিষ্টি থেকে দূরে থাকা বাঙালির পক্ষে বেশ কঠিন। মিষ্টিমুখ ছাড়া কোনও অনুষ্ঠানই সম্পূর্ণ হয় না। তবে চিনি খেয়েও যদি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তা হলে কেমন হয়? মিষ্টিপ্রেমীরা এত দিন এমনটাই চেয়ে এসেছিলেন। কী ভাবে তা সম্ভব? পুষ্টিবিদদের মতে, চিনি দেওয়া চা-কফি হোক কিংবা আইসক্রিম, রসগোল্লা, যাই খান, নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে।
সঠিক সময়ে খান মিষ্টি
একান্তই মিষ্টি খেতে হলে সঠিক সময়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদ। পাশাপাশি চিনি খাওয়ার খারাপ দিক নিয়েও সতর্ক করেছেন। মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ভালো নয়, সেটা ভুলে গেলে চলবে না। তবে মিষ্টির প্রতি অদম্য টান এড়াতে পারেন না অনেকেই। সেক্ষেত্রে জেনে নেওয়া জরুরি কখন খেলে ক্ষতি এড়ানো যাবে। বিভিন্ন গবেষণা এবং পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার একেবারেই খালি পেটে খাওয়া যাবে না। ঘুম ভেঙেই যদি মিষ্টি খেতে শুরু করেন, তা হলে ক্ষতি এড়ানো যাবে না। রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়া কিছুতেই আটকানো যাবে না। অনেক সময় দেখা যায়, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবারের মতো স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে মিষ্টি খেলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে এই বিষয়টি পুষ্টিবিদের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া জরুরি।
চেনা খাবারেও রয়েছে চিনি
পুষ্টিবিদদের মতে, যদি সময়ে খাবার খান, তা হলে শুধু মিষ্টি কেন, মাঝেমাঝে ভাজাভুজি খেলেও ওজন বাড়বে না। রসগোল্লা, সন্দেশ খাচ্ছেন না মানেই মিষ্টি থেকে দূরে থাকছেন, ভেবে নেওয়া ভুল। কারণ, এমন অনেক চেনা খাবারেই চিনি আছে, যেগুলি পরিকল্পিত ডায়েটেও থাকে। তবে সঠিক সময়ে মিষ্টি খেলেও সমস্যা হবে না।
কখন খেতে পারেন মিষ্টি
রোগা হওয়ার ইচ্ছা থাক কিংবা না থাক, মিষ্টি খাওয়ার সঠিক সময় হল সকালবেলা বা দুপুরের দিকে। এই সময় বিপাকহার বেশি থাকে। সেই কারণে সকালে বা দুপুরে মিষ্টি খেলেও তা বাড়তি মেদের কারণ হয়ে উঠবে না। রাতে মিষ্টি খাওয়া হল সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর ব্যাপার। নৈশভোজে মিষ্টি খেতে বারণ করেন পুষ্টিবিদেরা। রাতে বিশেষ হাঁটাচলা হয় না। কায়িক পরিশ্রমও কম হয়। ফলে মিষ্টি হজম হওয়ার সুযোগ কম থাকে। সেই কারণে রাতে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাসে ওজন বাড়তে পারে। সকালে মিষ্টি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কম, কিন্তু একেবারে যে নেই, তা-ও নয়। তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া জরুরি। খেতে ভালবাসেন বলেই একসঙ্গে বেশি খেয়ে নেওয়া ঠিক হবে না।