Age Wise Blood Sugar Level Chart: আজকাল ডায়াবেটিস (Diabetes( রোগীর সংখ্যা তরতরিয়ে বাড়ছে, এর কারণ হল খারাপ খাদ্যাভ্যাস। ফলে মানুষ এখন খুব অল্প বয়সে ব্লাড সুগারের (Blood Sugar) শিকার হচ্ছে। যে কারণে তাদের অস্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যাপারে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। বয়স অনুযায়ী রক্তে শর্করার মাত্রা কেমন হওয়া উচিত। যাতে আপনি নিজের যত্ন নিতে পারেন সে সম্পর্কে জানুন। এছাড়াও, কিছু মানুষ তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে এমন কিছু ভুল করে, যে কারণে ডায়াবেটিস রোগের শিকার হয়। এই রোগ থেকে বাঁচতে, আপনার জানা দরকার আপনি কী কী ভুল করছেন, যে কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। সেই ভুলগুলি কী কী, যেগুলির কারণে ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। রইল সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত।
বয়স অনুসারে সুগারের মাত্রা কত থাকা উচিত
খাবার খাওয়ার এক বা দুই ঘণ্টা পর ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের রক্তে শর্করার মাত্রা ১৪০ মিলিগ্রাম হয়। উপোস করে থাকলে এটি প্রতি ডেসিলিটারে ৯৯ মিলিগ্রাম হওয়া উচিত। ৪০ বছর বয়স অতিক্রম করার পর, মানুষের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত।
যাদের বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ডায়াবেটিক রোগী, তাদের উপোস করে থাকলে সুগারের মাত্রা ৯০ থেকে ১৩০ mg/dL হওয়া উচিত। যদিও খাওয়ার পরে ১৪০ mg/dl এবং রাতের খাবারের পরে ১৫০ এর কম থাকা ভাল বলে মনে করা হয়। এর চেয়ে বেশি থাকলে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এই ক্ষেত্রে, অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কীভাবে সুগার লেভেল কমাবেন?
- যদি ব্লাড সুগারের রোগী হন, তাহলে ঘুম না হওয়া পর্যন্ত আপনার খাওয়া-দাওয়ার পদ্ধতি পরিবর্তন করা উচিত। আপনার শারীরিক কার্যকলাপ বাড়াতে হবে। ব্যায়াম আপনার জীবনধারার একটি অংশ করা উচিত।
- বেশি চিনি, লবণ, কোল্ড ড্রিংক, মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, বেশি কার্বোহাইড্রেট আছে এমন জিনিস খাবেন না। আপনার খাদ্যতালিকায় স্যালাড অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন।
এছাড়াও যে কারণগুলি আপনার সুগার লেভেল বাড়াতে পারে
রাতে ভারী খাবার খাওয়া
রাতের খাবার সবসময় হালকা হওয়া উচিত। রাতে ভারী খাবার লিভারের ওপর চাপ ফেলে এবং মেটাবলিজমকে ধীর করে দেয়, যার ফলে অনেক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত খাওয়া
অনেক সময় দেখা যায় কেউ কেউ খাবার ফেলে দিতে পছন্দ করেন না, তাই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলেন। বলা হয় খাবার সেভাবেই খাওয়া উচিত যা খিদে কমায়। খিদের চেয়ে বেশি খাবার খেলে কোলেস্টেরল, হজমের সমস্যা এবং মোয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
খিদে নেই, তবুও খাচ্ছেন
খিদে না পেলে খাওয়ার কারণেও রোগের শিকার হওয়ার অন্যতম কারণ। এই অভ্যাস শুধু আপনাকে ডায়াবেটিসের শিকারই করবে না, আরও অনেক রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেবে।