Uric acid level In Blood: রক্তে কতটা ইউরিক অ্যাসিড স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, কখন ডেকে আনে বিপদ? জানুন

Uric acid level: শরীরে কতটা ইউরিক এসিড থাকা উচিত? যাতে আপনার স্বাস্থ্যের অবনতি না হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

Advertisement
 রক্তে কতটা ইউরিক অ্যাসিড স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, কখন ডেকে আনে বিপদ? জানুন

Uric acid level In Blood: ডায়াবেটিস, হাই ব্লাডপ্রেশার, থাইরয়েড, হৃদরোগের মতো ইউরিক অ্যাসিডের রোগও সাধারণ হয়ে উঠছে। এর কারণে হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হয়ে থাকে। পায়ে ও হাতে ফোলাভাব থাকে। পিউরিন জাতীয় খাবারের অত্যধিক ব্যবহারে ইউরিক অ্যাসিড হয়। এ কারণে গাউট বা গেঁটেবাত, কিডনি ও হার্ট ফেইলিউরের ঝুঁকিও থাকে। এমন পরিস্থিতিতে জানা জরুরি শরীরে কতটা ইউরিক অ্যাসিড থাকা উচিত। যাতে আপনার স্বাস্থ্যের অবনতি না হয়।

ইউরিক অ্যাসিড কত থাকা উচিত?
 যদি মহিলাদের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা 6mg প্রতি dl এবং পুরুষদের 7mg প্রতি dl হয়, তবে এটি ভাল লক্ষণ নয়। এর ফলে মারাত্মক রোগ হতে পারে।  গবেষণা অনুসারে, পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ আলাদা। মহিলাদের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডের স্বাভাবিক মাত্রা 1.5 থেকে 6.0 mg/dL এবং পুরুষদের মধ্যে এটি 2.4 থেকে 7.0 mg/dL হওয়া উচিত। যখন পুরুষদের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা 7.0 mg/dL ছাড়িয়ে যায়, তখন তা শরীরের জন্য খুবই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। একইভাবে, যদি এটি মহিলাদের মধ্যে 6.0 mg/dL এর বেশি হয় তবে এটি অনেক ধরণের ক্ষতির কারণ হতে পারে। অন্যদিকে, যদি ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ পুরুষদের মধ্যে 2.5 mg/d এর কম এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে 1.5 mg/d এর কম হয়, তাহলে সেটাও ভালো বলে বিবেচিত হয় না। কারণ শরীরের কিছু প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়ার জন্য ইউরিক অ্যাসিডের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

এর বৃদ্ধির কারণে জয়েন্টগুলোতে ব্যথা ও ফোলাভাব, জয়েন্টের কাছের ত্বকের রং বিবর্ণ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে প্রস্রাবে প্রচুর গন্ধও হয়। বমি বমি ভাব এবং বমিও হয়ে থাকে। কিডনিতে পাথরের সমস্যাও দেখা দেয়। আরেকটি উপসর্গ হল ঘন ঘন প্রস্রাব। এমন অবস্থায় বুঝতে হবে আপনার ইউরিক অ্যাসিড বেড়েছে। ইউরিক অ্যাসিড কন্ট্রোলে আনতে, আপনার কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

Advertisement

বেশি ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হওয়ার কারণ
যদিও একজন ব্যক্তির মধ্যে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণ সবসময় জানা যায় না, তবে সাধারণত জেনেটিক, স্বাস্থ্য এবং খাদ্যাভ্যাস এর জন্য দায়ী। রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে এই রোগকে হাইপারইউরিসেমিয়া বলে। যদি পিতামাতার মধ্যে কারও এই রোগটি থাকে তবে তার সন্তানের মধ্যে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়া যেসব খাবার বেশি পিউরিন তৈরি করে সেগুলোও বেশি ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করতে পারে। তৃতীয় কারণ হল কিছু রোগ, যাতে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়। রেড মিট, সামুদ্রিক খাবার, কিছু মাছ, পোলট্রি প্রডাক্ট, চিনিজাত দ্রব্য ইত্যাদি অতিরিক্ত খাওয়ার কারণেও ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়। তাই এই জিনিসগুলি খুব কম খাওয়া উচিত।

ইউরিক অ্যাসিডের ঘরোয়া প্রতিকার
হলুদে রয়েছে কারকিউমিন যা প্রদাহরোধী গুণে ভরপুর। আপনি যদি হলুদ দুধ পান করেন তবে এটি ব্লাড প্রেশার কন্ট্রোলে রাখতে এবং অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। এটি পরিপাকতন্ত্রকেও শক্তিশালী করে। 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধে খুব কম পরিমাণে পিউরিন পাওয়া যায়। এমন অবস্থায় দুধ খেলে আমাদের শরীরের হাড়ও মজবুত হয়। এছাড়াও, এর কারণে বাতের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকিও নেই।

শরীরে উপস্থিত ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে ভিটামিন সি যুক্ত জিনিস বেশি করে  ব্যবহার করতে হবে। যেমন, ভিটামিন সি যুক্ত ফল যেমন কমলা, টমেটো, লেবু ইত্যাদি। ভিটামিন সি যুক্ত জিনিস খেলে খুব সহজে এবং অল্প সময়েই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

Disclaimer: এই বিষয়বস্তু শুধুমাত্র পরামর্শ সহ সাধারণ তথ্য প্রদান করে। এটা কোনোভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। আজতক বাংলা এই তথ্যের দায় স্বীকার করে না।

POST A COMMENT
Advertisement