রোজ গম খাওয়া ভাল?রুটি, পরোটা, পুরি, পাউরুটি, পাস্তা এবং অনেক খাবারেই গম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনেকেই মনে করেন যে এই গম শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু এই গম আমাদের স্বাস্থ্যের এক নম্বর শত্রু, তা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারবেন না। ছোটবলো থেকেই আপনি গমের তৈরি অনেক খাবারই খাচ্ছেন। কিন্তু ইউনানি এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডঃ সেলিম জাইদি সম্প্রতি তার ইনস্টাগ্রাম রিলে এমন একটি দাবি করেছেন যা মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। রিলে, তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে আজ আপনি যে গম খাচ্ছেন, তা ধীরে ধীরে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে। অজান্তেই গমের তৈরি খাবার খেয়ে শরীরের ক্ষতি করছেন।
প্রাচীন ভারতীয় গম পুষ্টিকর
ডাঃ জাইদি ব্যাখা করেন যে আগেকার দিনে যে দেশীয় গম পাওয়া যেত, তাতে ফাইবার, খনিজ ও প্রোটিন থাকত। এটি পেট পরিষ্কার রাখত এবং শরীরকে পুষ্টি দিত। তবে আজকের দিনের গম হাইব্রিড ও পরিশোধিত, প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় ফাইবার, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়। ডাঃ জাইদি আরও বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি গম রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে, যা স্থুলতা, ক্লান্তি ও ডায়াবেটিসের একটি প্রধান কারণ।
গ্লুটেনের সমস্যা
ডাঃ জাইদির মতে, আজকের দিনের গমে আগের তুলনায় গ্লুটেনের পরিমাণ বেশি এবং এটি আমাদের অনেক সমস্যার মূল কারণ। অতিরিক্ত গ্লুটেন শরীরের জন্য উপযুক্ত নয়, যার ফলে পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটি, গ্যাস, পেটে ভারী ভাব এবং হজমের সমস্যা দেখা দেয়। তিনি বলেন যে মানুষ বুঝতে পারছে না যে তারা প্রতিদিন যে গম খায় তা ধীরে ধীরে এই সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে উঠছে।
গমের পরিবর্তে এগুলি খান
ডাঃ সেলিম জাইদির মতে, যদি আপনি সত্যিই সুস্থ ও ফিট থাকতে চান, তাহলে প্রথম পদক্ষেপ হল গম খাওয়া কমানো বা বন্ধ করা। পরিবর্তে বাজরার আটা খান। তাঁর মতে, বাজরা হজমশক্তি উন্নত করে, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, আরও শক্তি সরবরাহ করে এবং পেট হালকা করে। তিনি দাবি করেন যে নিজেদের খাবার তালিকায় বাজরা অন্তর্ভুক্ত করলেই মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই, মানুষ তাঁদের শরীর ও স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন অনুভব করতে পারবেন।