Feel Sleepy Immediate After Meal: দুপুরে যখন আমরা খাবার খাই, তারপরই ঘুম পেয়ে যায়। খাবার খেলে তো আমরা এনার্জি পাই, তাহলে ঘুম কেন পায়? যদি এই প্রশ্ন আপনার ভেতরেও ঘুরপাক করে, তাহলে আসুন এর জবাব আজকে আমরা জেনে নিই।
একটা হেলথ কোম্পানির ফুড মার্বেল (Food Marble) এর নিউট্রিশনিস্ট এক্সপার্ট এবং বৈজ্ঞানিক ডক্টর ক্লিয়ার শর্ট (Clear Short) জানিয়েছেন যে, যখন আমরা খাবার খাই, তারপরই আমাদের গোটা শরীর সক্রিয়ভাবে কাজ করতে শুরু করে। যখন আমরা বেশি সুগারওয়ালা খাবার খাই, তখন আমাদের ব্লাড সুগার বাড়ে এবং এর কিছুক্ষণ পর এটি খুব দ্রুত কমতে পারে। এ কারণে আচমকা ক্লান্ত অনুভব হতে পারে। ব্লাড সুগার লেবেল কম হওয়া, খাবার খাওয়ার পরে ঘুম আসা একটা কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ Morning Headche: সকালে উঠেই শুরু হয় ভয়ঙ্কর মাথাব্যথা? জানুন এর থেকে বাঁচার উপায়
যদিও শুধুমাত্র এই কারণেই ঘুম আসে তা নয়, এর মধ্যে আমাদের হরমোনেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। খাওয়ার পরে আমাদের শরীরে কখনও কখনও সেরোটোনিন (Serotonin) হরমোন তৈরি হয় খুব দ্রুত। যদিও এটি কথ্য ভাষায় ফিল্ম গুড হরমোন (Feel Good Hormone) বলে পরিচিত। কিন্তু এই হরমোন যদি বেড়ে যায় তাহলে আমাদের ঘুম আসতে পারে। সেরোটোনিন আমাদের মুড এবং স্লিপ সাইকেলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন খাওয়ার পরে এর স্তর বাড়তে থাকে তখন আমাদের ঘুম অনুভব হয় এবং ক্লান্ত লাগে।
কীরকম খাবার খেলে ঘুম আসবে না?
ডাঃ শর্ট জানিয়েছেন যে ট্রিপ্টোফ্যান (Tryptophan) নামের অ্যামাইনো অ্যাসিডে ভরা খাবার খাওয়াও ঘুমের কারণ। সেরোটোনিনের উৎপাদনে এই অ্যামাইনো অ্যাসিড শামিল থাকে। ট্রিপ্টোফ্যান, একাধিক প্রোটিনযুক্ত খাদ্য পদার্থ, যেমন পনির, ডিম, এবং টোফুতে পাওয়া যায়। চেরির মতো জিনিসেও মেলাটোনিনের (Melatonin) স্তর শরীরকে প্রভাবিত করতে পারে এবং আপনার ঘুম আসতে পারে।
খাওয়ার খাওয়ার পরেই ঘুম আসবে না, এমন খাবারের কথা বলা খুব কঠিন। কারণ আলাদা আলাদা খাবারের প্রতি ব্যক্তি আলাদা আলাদা ভাবে রিঅ্যাক্ট করে।
খাওয়ার পরে ঘুম না আসার জন্য কী করতে হবে?
ডাঃ শর্ট জানিয়েছেন যে, এখনও এর উপরে সম্পূর্ণ গবেষণা হয়নি। গবেষণা চলছে। বেশিরভাগ লোকই জানাচ্ছেন যে তাঁদের খাওয়ার পরে কখনও কখনও ঘুম পায়, আবার কখনও কখনো ঘুম পায় না। এ কারণে এর উপরে চূড়ান্ত জবাব দেওয়া মুশকিল। তার বক্তব্য যে, খাবারে যদি হাই ফাইবার ফুড শামিল করা যায়, তাহলে ব্লাড সুগার লেভেল স্থির থাকে। এই পরিস্থিতিতে ঘুম আসার সম্ভাবনা কম হয়ে যায়।
পরিমিত ভোজন করা এবং খুব বেশি মাত্রায় খাওয়ার না খাওয়াই ভাল। আপনার পাচনতন্ত্র ওভারলোড হয়ে গেলে আপনার শরীর বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়বে।