জিমে নিয়মিত ঘাম ঝরানোর অভ্যাস রয়েছে যাদের, তারা জিম ছাড়তেই আচমকা মোটা হয়ে যান। এই চিত্র এখন ঘরে ঘরে। এর নেপথ্যে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ। মূলত ক্যালরি কম বার্ন হওয়া এবং মেটাবলিজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যাওয়া।
এক্সারসাইজ করা বন্ধ করে দিলে ক্যালরি বার্ন হওয়াও কমে যায়। খাওয়া-দাওয়া একইরকম রাখা সত্ত্বেও এক্সারসাইজ না করলে কম বার্ন হওয়া ক্যালরি ফ্যাট আকারে শরীরেই জমা হতে থাকে। এছাড়াও মাসল কম হওয়ার কারণেও ওজন বাড়তে থাকে। মাসল অবসর সমে ক্যালরি বার্ন করে।
ফিটনেস এক্সপার্ট বিষ্ণু বেণুগোপালের মতে, জিম ছাড়লও কেউ চট করে মোটা হয়ে যায় না। তবে ওজন বৃদ্ধি হতেই পারে। নিয়মিত ওয়ার্কআউট করলে অনেকটা ক্যালরি বার্ন হয় বলে এই এক্সপার্ট মনে করেন। তবে যদি জিম ছেড়ে দেওয়ার পর অন্য কোনও শারীরিক কসরতও না করেন কিংবা খাওয়া-দাওয়াও নিয়ন্ত্রণে না রাখেন তাহলে ক্যালরি বার্ন হওয়ার পরিমাণ একদম কমে যায়। এতে ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে।
জিম ছাড়ার পর ওজন বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখায় গাফিলতি। সাধারণত ফিটনেসের দিকে সেভাবে নজর দেন না কর্মব্যস্তরা। জিম ছাড়ার পর নতুন করে ভাজাভুজি এবং ফাস্ট ফুড খাওয়া বাড়িয়ে দেন অনেকেই।
তবে জিম ছাড়ার পর কতদিনে ওজন বাড়ে তা নির্ভর করে এক একজনের লাইফস্টাইলের উপর। কয়েকজন কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ওজনে বদল অনুভব করতে পারেন। আবার কয়েকজন কয়েক মাসে বুঝতে পারেন বদল।
জিম ছাড়ার পরও কীভাবে ফিট থাকবেন?
ডায়েট- জিম ছেড়ে দিয়ে থাকলে ক্যালরি কম খাওয়া শুরু করুন। নিউট্রিশনে ভরপুর খাবার খান। প্রসেসড ফুড, চিনি এবং হাই ক্যালরি ড্রিঙ্ক খাবেন না।
অ্যাক্টিভ থাকুন-জিম না গিয়েও নিজেকে অ্যাক্টিভ রাখা যায়। হাঁটাচলা করুন আরও বেশি করে। ঘরেই কোনও না কোনও এক্সারসাইজ করুন। অথবা দৌড়ন কিংবা সাইকেল চালান। আরও বেশি করে জল খান। ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে, খেয়াল রাখুন। হেলথি লাইফস্টাইল মেনে চলুন।