আমাদের হেঁশেলে এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। আবার কিছু জিনিস বেশিদিন টেকে না। যেমন সবজি কিছুদিন রাখার পর শুকিয়ে বা পচে যায়। দুধ এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে গেলেই কেটে যায়। দীর্ঘদিন রেখে দিলে মশলাপাতির সুগন্ধ চলে যায়। এগুলো তো না হয় গেল রোজকার খাবার জিনিসের কথা। তার একটা নির্দিষ্ট এক্সপায়ারি ডেট থাকে। তা প্যাকেটেই লেখা থাকে। তবে রান্নার সরঞ্জামেরও যে আয়ু ফুরিয়ে যায়, তা কি আপনার জানা রয়েছে? এর মধ্যে ননস্টিকের বাসনপত্র তো আছেই। এর কোটিং উঠে গেলে তা ব্যবহার না করাই শ্রেয়। কিন্তু এছাড়াও রান্নাঘরে একটি জিনিস রয়েছে যা পুরনো হলে ব্যবহার করার বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। প্রত্যেক ভারতীয় হেঁশেলে একটা প্রেশার কুকার অন্তত থাকবেই। পুরনো প্রেশার কুকার এমনিতে ঠিকঠাক কাজ করলেও এটা কিন্তু রান্নাঘরের সবথেকে বিষাক্ত পদার্থ হতে পারে।
প্রেশার কুকার পুরনো হলে কী হয়
চিকিৎসকদের মতে, প্রেশার কুকার খুব পুরনো হয়ে গেলে তা থেকে অল্প পরিমাণে সীসা বের হয়। রান্নার সময় তা খাবারে গিয়ে মেশে। সব থেকে বড় কথা বল এই সীসা শরীর থেকে বেরিয়ে যায় না। ধীরে ধীরে রক্ত, হাড় এবং মস্তিষ্কে তা জমতে থাকে। এর কারণে দীর্ঘ মেয়াদের শরীর-স্বাস্থ্যের বারোটা বাজতে পারে। এর কারণে ক্লান্তি ঘিরে ধরতে পারে। স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকী স্মৃতি ও মুডও প্রভাবিত হয় এর কারণে।
কখন বদলে নেবেন প্রেশার কুকার
-প্রেশার কুকারে স্ক্র্যাচ, কালো ছোপ দাগ বা রং উঠে যাওয়া লক্ষ করলে তা থেকে টক্সিন বের হচ্ছে।
-ঢাকনা বা হুইসেল ঢিলে মনে হলে তা ব্যবহার করা নিরাপদ নয়।
-আপনার খাবারের স্বাদ ধাতব মনে হলে তা কিন্তু বড় লক্ষণ।
এ সব লক্ষণ দেখলেই তড়িঘড়ি প্রেশার কুকার বদলানোর পরামর্শ দিলেন ডাঃ ভোরা। তবেই খাবার খেয়ে পুষ্টি পাবেন, বিষাক্ত পদার্থ নয়।