সোশ্যাল মিডিয়ার কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা ঝলমলে ও গ্ল্যামারাস লুকে ভক্তদের মন জয় করে চলেছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে এই জীবনযাত্রার প্রভাব হতে চলেছে ভয়াবহ। সম্প্রতি জুয়া সাইট Casino.org একটি এআই-ভিত্তিক মডেল তৈরি করেছে, যেখানে দেখানো হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে কন্টেন্ট নির্মাতারা কেমন দেখতে হতে পারেন।
কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের ভবিষ্যতের রূপ ‘আভা’
বিশেষজ্ঞরা যে মডেলটি তৈরি করেছেন, তার নাম আভা। এআই মডেলটি দেখায়, ক্রমাগত মোবাইল ব্যবহার, রিং লাইটের নীচে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পোজ, এবং অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের শরীর ও চেহারায় ভয়ঙ্কর পরিবর্তন আসতে পারে।
বাঁকানো ঘাড় এবং কুঁজো ভঙ্গি (‘টেক নেক’)
ঘাড় ও মেরুদণ্ডের ব্যথা
চোখের ক্লান্তি, ডার্ক সার্কেল ও ফোলা পাপড়ি
ত্বকে দাগ, প্রদাহ ও দ্রুত বার্ধক্য
মুখে বিকৃতি, ফেসিয়াল ফিলারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
অতিরিক্ত হেয়ারস্টাইলিংয়ে চুল পড়া ও টাকের দাগ
৯০ ঘণ্টার কাজ, ঘুমের অভাব
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অনেক ইনফ্লুয়েন্সার সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করেন। ক্রমাগত স্ক্রিন টাইমের কারণে তাদের ঘুমের অভাব হয়, শরীরে অ্যাড্রেনালিন বেড়ে যায় এবং নীল আলো সার্কাডিয়ান চক্রকে বিঘ্নিত করে। ফলে মানসিক চাপ ও শারীরিক ক্ষয় দ্বিগুণ হয়।
চিকিৎসকদের সতর্কবার্তা
গবেষণায় উঠে এসেছে, দীর্ঘ সময় ধরে ফোন ব্যবহার ও কুঁজো হয়ে বসা পেশী ও স্নায়ুতন্ত্রে স্থায়ী সমস্যা তৈরি করতে পারে। ত্বক বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, অতিরিক্ত মেকআপ, লাইট ও কসমেটিক ট্রিটমেন্ট ডিজিটাল বার্ধক্য ঘটাতে পারে। চুল বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্র্যাকশন অ্যালোপেসিয়ার কারণে সময়ের সঙ্গে চুল স্থায়ীভাবে পড়ে যেতে পারে।