মহিলাদের বিবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। সেজন্য স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়মিত যাওয়া জরুরি। শুধু অসুখ-বিসুখ নয় মাতৃত্বের সক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য পরামর্শ দরকার। অনেক নারী আছেন যাঁরা যৌন স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনায় লজ্জা পান। অন্তরঙ্গ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলি সম্পর্কে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা না করলে সমস্যায় পড়তে পারেন। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে এই প্রশ্নগুলি করলে নির্দ্বিধায় উত্তর দেওয়া প্রয়োজন।
১। যৌন জীবন কি সক্রিয়?
অনেকের কাছে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের এই প্রশ্ন বিরক্তিকর বলে মনে হয়। কিন্তু এই প্রশ্ন করে চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেন, কোন পরীক্ষা পরামর্শ তিনি দেবেন।
২। ক'জনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন?
এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে অনেকেই ইতস্তত বোধ করেন। তবে এই প্রশ্ন জরুরি। গত ১৫ বছর ধরে আপনার একজন সঙ্গী হলে STD পরীক্ষা করাতে দেন না চিকিৎসক। তবে একাধিক সঙ্গী থাকলে ওই পরীক্ষা করাতে হয়।
৩। প্রতি মাসে পিরিয়ড সময়ে হয়?
মহিলাদের মাসিকচক্র ২৮ দিনের। নির্দিষ্ট তারিখের ৩-৪ দিন আগে-পরে হওয়াটা স্বাভাবিক। পিরিয়ড নিয়মিত না হলে গুরুতর সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসককে সেটা জানানো দরকার।
৪। চরম মুহূর্তে যন্ত্রণা ও রক্তপাত?
সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় চরম মুহূর্তে যোনিতে ব্যথা হলে ভয় পাবেন না। তবে প্রতিবার সঙ্গমকালে ব্যথা হলে চিকিৎসককে দেখানো উচিত। এক্ষেত্রে সংক্রমণ হয়েছে কিনা সেই পরীক্ষা বা এন্ডোমেট্রিওসিস করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
৫। স্রাব বা গন্ধে কোনও পরিবর্তন হয়েছে?
অনেক মহিলা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে দ্বিধা করেন। হঠাৎ যোনিপথের স্রাবে রং এবং গন্ধ বদলে যায় তাহলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। এই সমস্যার উপশম সম্ভব। ডাক্তারকে বিষয়টি খুলে বলুন।
৬। আপনি কি জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় খুশি?
ডাক্তাররা প্রায়শই মহিলাদের এই প্রশ্নটি করেন। জন্মনিয়ন্ত্রণের করলে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করেন, সেটা ডাক্তারকে বলুন। তিনি হয়তো অন্য কোনও বিকল্পের কথা বলতে পারেন।
৭। নিজের স্তন পরীক্ষা করেন?
প্রত্যেক মহিলার নিজের স্তনের উপর নজর রাখা দরকার। তাই স্তনের গঠনে কোনও পরিবর্তন হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখান।
আরও পড়ুন- কথায় কথায় রেগে যান? এই খাবারগুলো খেলেই মাথা থাকবে ঠান্ডা