World Hearing Day 2023: ৩ মার্চ দুনিয়াজুড়ে বিশ্ব শ্রবণ দিবস (World Hearing Day 2023) এবং আন্তর্জাতিক কানের যত্ন দিবস (International Ear Care Day) হিসাবে পালিত হয়। কান আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও আমরা এনেকেই এই অঙ্গকে প্রায়ই উপেক্ষা করি বা তেমন যত্ন নিই না। আমরা কানের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে খুব একটা নজর দিই না এবং কানের সমস্যাগুলির দিকেও তেমন ভাবে নজর দিই না। যেমন, কানে চুলকুনি হলে হয় ইয়ার বাডসের ব্যবহার করা হয় অথবা হালকা গরম সরষের তেল ঢেলে দেওয়ার মতো অন্য কোনও পদ্ধতিতে কানের চুলকুনি বা অস্বস্তি থেকে সাময়িক ভাবে মুক্তি পাই। যাইহোক, এই উভয় পদ্ধতি সম্পূর্ণ সঠিক বা সম্পূর্ণ ভুল নয়। তবে কখনও তা বিপজ্জনকও হতে পারে।
কান পরিষ্কার করার পদ্ধতি এবং বধিরতা:
ইয়ার বাডস দিয়ে কান পরিষ্কার করা আরামদায়ক ও উপকারী এবং হালকা গরম তেল দিয়েও ঘরোয়া প্রতিকার কাজে লাগান অনেকে। কিন্তু এগুলো ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি না জানলে বধির হয়ে যেতে পারেন! যেমন, কানে হালকা গরম তেল দিলে কানের ব্যথা, কান চুলকুনি ইত্যাদিতে খুব উপকার পাওয়া যায়। তবে এই তেলটি কেবলমাত্র খাঁটি সরষের তেল হওয়া উচিত এবং আপনার ঠান্ডা লাগলে, সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত নয়। সর্দি-কাশি হলে এমনটা করলে আপনার শ্রবণশক্তি হারাতে বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে! একই জিনিস ইয়ার বাড ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আপনি যদি এটি ভুলভাবে ব্যবহার করেন তবে এটি আপনার কানে সংক্রমণ বাড়াতে পারে এবং আপনার শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘুরে আসুন, পরে টাকা দেবেন, ট্র্যাভেল ক্রেডিট কার্ড আনল IRCTC-HDFC
কান চুলকোয় কেন?
কানে ইয়ার বাড বা তেল দেওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল কানে চুলকুনি বা অস্বস্তি। কানে এই চুলকুনি বা অস্বস্তি নানা কারণে হতে পারে। এটি হওয়ার কারণগুলি যেমন ভিন্ন, একইভাবে এটি ঠিক করার পদ্ধতিগুলিও এই কারণগুলির উপর নির্ভর করে একেক রকম হবে। তাই নিজের কানের যে কোনও সমস্যায় কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভাল। এবার আসা যাক কান চুলকনোর সবচেয়ে সাধারণ কারণ সম্পর্কে।
কানে চুলকুনির সাধারণ কিছু কারণ:
কানে চুলকুনির সবচেয়ে সাধারণ এবং অজানা একটি কারণ হল মাথার ত্বকে খুশকি। যাদের মাথায় সব সময় খুশকি থাকে, তাদের কানে প্রচণ্ড চুলকুনি ও কানে সংক্রমণের সমস্যা হতে পারে। এ ধরনের মানুষের কান থেকে পুঁজ বেরনোর সমস্যাও হতে পারে। তাই কানে চুলকুনি বা পুঁজের সমস্যা থাকলে তার চিকিৎসার পাশাপাশি মাথার খুশকিরও চিকিৎসা করুন এবং চুল পরিষ্কার রাখুন। আপনার চুল যত পরিষ্কার হবে, আপনার কানে চুলকুনির সম্ভাবনা তত কম।