Sikkim Cheap Travel: বাঙালির পাহাড় মানেই দার্জিলিং। আর নাহলে সিকিম। হাতের কাছে প্রায় এই বাংলার গা ঘেঁষেই আরও এক শৈলরাজ্যে ঘোরার খরচের পাশাপাশি যাতায়াতের খরচ বেশ চড়া। বিশেষ করে শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যাওয়ার খরচ অনেকটাই বেশি। গ্যাংটক যেতে খরচ হয় গাড়িপিছু প্রায় ৩৫০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকা। ফিরতে আবারও একই পরিমাণ টাকা খরচ হয়।সেই চড়া ভাড়ার ভয়ে অনেক সাধারণ মধ্য়বিত্ত ভ্রমণপিপাসুরা সিকিম ভ্রমণ কিছুটা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুনঃ ফালুটে মাইনাস ২ ডিগ্রি, দার্জিলিং-সহ ৩ জেলায় কত?
সারা বছরই সিকিমে (Sikkim) পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। পাহাড়ের টানে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘুরতে যান সিকিম। তবে সিকিমে পর্যটকদের মধ্যে পশ্চিমবাংলার লোকই বেশি। এছাড়া বাংসাদেশ থেকেও প্রচুর পর্যটক সিকিম ঘুরতে যান। কিন্তু চড়া খরচের কারণে অনেকেই বিকল্প হিসেবে দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং বেছে নিচ্ছেন। কিন্তু সিকিমও জলের দরে যাওয়া সম্ভব। যাতে আপনি ১০ গুণের কম টাকায় সিকিম যেতে পারবেন। কীভাবে আসুন জেনে নিই।
সিকিমে যেতে হলে শিলিগুড়ি পৌঁছতেই হবে। বিমানে এলে বাগডোগরা বিমানবন্দরে, বাসে এলে তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে অথবা ট্রেনে এলে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন কিংবা শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে নামা যায়। এই সব জায়গা৩ থেকেই সরাসরি গাড়িভাড়া পাওয়া যায় সিকিমের যে কোনও জায়গার জন্য কিন্তু ভাড়া পড়ে উপরে বলা হিসেব মতো বেশ চড়া হারেই। তবে বিকল্প আছে। তার জন্য় আপনাকে যে কোনও জায়গায় নেমেই চলে আসতে হবে শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে। সেখানে রয়েছে সিকিম ন্যাশনালাইজড ট্রান্সপোর্ট (SNT) ট্রান্সপোর্ট।
সিকিমগামী পর্যটকদের যেতে হবে এসএনটি (SNT) বাস টার্মিনাসে। শিলিগুড়ির জংশন লাগোয়া এলাকাতেই রয়েছে এই বাস টার্মিনাস। এখান থেকে সিকিমের উদ্দেশ্যে বাস ছাড়ে। এই টার্মিনাসে আপনাদের টিকিট কাটতে হবে। এখান থেকে সিকিম যাওয়ার জন্য আপনারা এসি ও নন-এসি দুই ধরনের বাসই পাবেন।
সিকিম সরকারের এই বাসগুলি পর্যটকদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। এই বাসগুলি বেশ আরামদায়ক। গ্যাংটক ছাড়াও পেলিং, গ্যাংটক, রাবাংলা, মঙ্গন, জোড়থাং, রংলি, পাকিয়াং সহ বিভিন্ন জায়গায় সিকিম ন্যাশানালাইজড ট্রান্সপোর্টের বাসগুলো যাতায়াত করে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিমের নন এসি বাস ভাড়া ১৯০ টাকা। এসি বাসের ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৩৫০ টাকা। পাহাড়ে যেতে হলে সাধারণত নন এসিতেই চলে। কারণ শিলিগুড়ির এলাকা ছাড়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই ঠান্ডা বাতাস ঝাঁপিয়ে পড়ে এলাকা।