নিজেকে প্রাণবন্ত ও তারুণ্যময় দেখাতে চায় সবাই। বয়স যতই বাড়ুক, সাজসজ্জা ও পোশাকের সঠিক বাছাই যদি হয় নিখুঁত, তবে লুকের ভেতর ঢুকে যায় একধরনের সতেজতা। কিছু সহজ কৌশল মানলেই বয়স কম দেখাবে কয়েক বছরের মতো, সেই সঙ্গে তৈরি হবে আধুনিক ও অভিজাত উপস্থিতি।
প্যাটার্নের খেলা
পোশাকের নকশা বা প্যাটার্ন অনেকটা বদলে দিতে পারে লুক। সোজা স্ট্রাইপ বা জ্যামিতিক নকশা অনেক সময় কড়া ও একঘেয়ে লাগে। তার বদলে নরম বাঁকানো ডিজাইন ও উজ্জ্বল রঙিন প্যাটার্ন বেছে নিলে ফুটে ওঠে তারুণ্যের ছাপ। দুই রঙে সীমাবদ্ধ না থেকে বর্ণিল নকশায় মিলবে প্রাণবন্ত আমেজ।
সহজে পরার পোশাক
শরীরের গড়ন বদলানোর সঙ্গে জিপার বা বোতামওয়ালা প্যান্ট অস্বস্তিকর হয়ে উঠতে পারে। সমাধান হলো টেনে পরা যায় এমন ট্রাউজার বা প্যান্ট। তবে যেন তা পুরোনো ঢঙের না হয়। এখনকার ফ্যাশনে স্কিনি অ্যাঙ্কেল প্যান্ট, ক্রপড ট্রাউজার কিংবা কুলোত বেশ জনপ্রিয় এবং স্টাইলিশ।
রঙের জাদু
গাঢ় রঙ পোশাকে আনতে পারে অভিজাত ভাব, তবে তা বয়সকেও বাড়িয়ে তোলে। অন্যদিকে হালকা ও উজ্জ্বল রঙ এনে দেয় প্রাণশক্তি ও সতেজতা। স্কার্ফ, নেকলেস বা ব্রোচের মতো রঙিন অনুষঙ্গ ব্যবহার করলে লুক আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। কালো রঙের পরিবর্তে বাদামি বা ছাই রঙ বেছে নিলেও লুক নরম ও আধুনিক দেখাবে।
চলতি ধারা বনাম চিরকালীন ধাঁচ
ট্রেন্ডি পোশাক সব সময় মানানসই নাও হতে পারে। তাই নিজের আলাদা স্টাইল তৈরি করা জরুরি। তবে ভরসা রাখুন ক্ল্যাসিক পোশাকের ওপর, যেগুলো কখনও পুরোনো হয় না।
ক্রপড প্যান্ট ও জুতার জুটি
হালকা ক্রপড প্যান্ট শরীরকে লম্বাটে দেখায়। এর সঙ্গে মানানসই জুতা পরলেই পুরো লুকে আসবে তারুণ্যের ছোঁয়া।
ভারসাম্যপূর্ণ স্টাইল
অত্যধিক টেইলার্ড পোশাক বয়স বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই অসমান কাটের লম্বা পোশাক বা হালকা ওভারসাইজড পোশাক বেছে নিলে লুক আরও সতেজ হবে।
অনুষঙ্গে সরলতা
অতিরিক্ত গয়নায় ঢেকে ফেলবেন না নিজেকে। বরং হালকা ও সাদামাটা গয়না বেছে নিলে তৈরি হবে আধুনিক ও পরিশীলিত উপস্থিতি।
আরামদায়ক হিল
আরাম ও স্টাইলের সমন্বয় জরুরি। স্টিলেটো না পরে কিটেন হিল, প্ল্যাটফর্ম বা ওয়েজেস ব্যবহার করলে হাঁটার সময় থাকবে স্বস্তি, আবার হিলও বাদ যাবে না।