বিশ্বের প্রাচীনতম টি রিসর্ট বলে দাবি করেন তাঁরা। কার্যত যখন এটি চালু হয়েছিল, তখন এমন কনসেপ্ট খুব একটা চালু ছিল না। তাই চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কাউকে পাওয়া দুষ্কর।
১৮৬২ সালে নির্মিত, বিশ্বের প্রাচীনতম টি এস্টেট-রিসর্টটি দার্জিলিং শহর থেকে মাত্র ২০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত।
কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ ভিউ, মনোরম দৃশ্য সহ একটি খাঁটি, ঐতিহ্যবাহী চা বাগানের অভিজ্ঞতা পেতে হলে আপনাকে এখানে আসতেই হবে।
ভারতে আমরাই একমাত্র গন্তব্য যেখানে আপনি ১৬০০ একর ব্যক্তিগত এস্টেটের মধ্য দিয়ে সারাদিন হেঁটে যেতে পারেন এবং রাতে বিলাসবহুল রিসর্টে সময় কাটাকে পারবেন।
এখানকার বাংলোগুলো একদম পুরনো সাহেবি বাংলো। শীতে এখানে ফায়ারপ্লেস প্রয়োজন হয়। বসন্তে অবশ্য মনোরম আবহাওয়া হলেও রাতে গায়ে মোটা কম্বল মুড়েই শুতে হয়।
এক-একটি রুম শহরতলির এক-একটি ফ্ল্যাট। হাত পা ছড়িয়ে থাকার জন্য বিশাল। প্রায় ১০০ বর্গফুটের রুমে আপনিই রাজা।
এখানকার প্যানোরামিক পর্বতের নয়নাভিরাম দৃশ্য অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। ভিক্টোরিয়ান আর্কিটেকচারে তৈরি এই প্রপার্টি নিজেই একটা বিস্ময়।
আমাদের ৩ একর এলাকার উপর পুরো বাংলোটি রয়েছে। বাংলোর চারিদিকে চা বাগানের ছোট ছোট গাছ। এক অন্য অনুভূতি সঞ্চার করে।
১৮৫৪ সালে একজন জার্মান ধর্মযাজক জোয়াকিম স্টোয়েকে শুরু করেছিলেন, সিংতাম টি এস্টেট। দার্জিলিং-এর ২য় প্রাচীনতম চা এস্টেট। রিসর্ট হিসেবে প্রথম।
স্টোয়েকে ১৮৫২ সালে দার্জিলিং এর প্রথম চা এস্টেট, স্টেইনথাল টি এস্টেট রোপণ করেছিলেন। ফলস্বরূপ তিনি 'ফাদার স্টেইনথাল' নামে পরিচিত হন।
ফাদার স্টেইনথাল শিকারের সময় আবিষ্কার করেছিলেন যে সিংতাম এলাকার বনগুলি, বাঘ এবং চিতাবাঘের আবাসস্থল।
তিনি যখন সিংতামে প্রথম চা ঝোপ রোপণ করেন, তখন স্থানীয়রা এলাকার নাম দেন ‘সিংতাম’, যার অর্থ স্থানীয় ভাষায় বাঘ ও চিতাবাঘের বাড়ি।
১৮৫৪ সাল থেকে, এস্টেটের মালিকানা বেশ কয়েকবার পরিবর্তিত হয়েছে, এবং ১৯৯ সাল থেকে চিরিমার পরিবারের সাথে রয়েছে।
দার্জিলিং থেকেই গাড়ি নিতে পারেন। ১০০০ টাকা যেতে এবং ১০০০ টাকা আসতে নেওয়া হয় সাধারণত। কখনও কম-বেশি হতে পারে। শিলিগুড়ি থেকে গেলে গাড়ি প্রতি গড়ে ৫০০০ টাকা পৌঁছতে লাগবে। ফিরতে আবার একই পরিমাণ অর্থ। নিজের গাড়ি নিয়ে গেলে প্রতিদিন ৫০০ টাকা পার্কিং দিতে হবে।
এখানে থাকা খাওয়ার জন্য খরচ ৭-১০-১১ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। প্রতি রুম/প্রতি রাত হিসেবে। এর মধ্যে সমস্ত খরচ ধরা থাকে। সিংতাম টি রিসর্টের নিজস্ব ওয়েবসাইট আছে। সেখানেই বুক করা যায়।