Tea garden homestay North Bengal: পাহাড়ের বুক চিরে ছুটে চলা টয় ট্রেন, চা-পাতার সুবাস, আর কুয়াশার চাদরে মোড়ানো প্রাচীন বাংলো – দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াং আজও আগলে রেখেছে ব্রিটিশ আমলের ঐতিহ্য। এই অঞ্চলের বহু শতাব্দী পুরনো চা-বাগান ঘেরা বাংলো এখন পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য উন্মুক্ত।
এখানে দেওয়া রইল সেরা কিছু বাংলোর তালিকা, তাদের অবস্থান, খরচ, যাতায়াত এবং বুকিং সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য। কীভাবে যাবেন কোথায় থাকবেন, দার্জিলিং-কালিম্পং-কার্শিয়াংয়ের সেরা চা-বাগানের বাংলো, খরচ, বুকিং ও যাতায়াতের গাইড।:
১. গ্লেনবার্ন টি এস্টেট (Glenburn Tea Estate), দার্জিলিং
অবস্থান: দার্জিলিং শহর থেকে ১ ঘণ্টা দূরে।
রাত্রিযাপনের খরচ: ₹১৫,০০০–₹২৫,০০০ (সাথে সব খাবার)
বিশেষত্ব: ১৮৫৯ সালে স্থাপিত, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এবং রিভার ক্যাম্পিং-এর সুযোগ।
২. মকাইবাড়ি টি এস্টেট বাংলো, কার্শিয়াং
অবস্থান: কার্শিয়াং বাজার থেকে ৩০ মিনিট।
খরচ: ₹৩,০০০–₹৮,০০০ (থাকাসহ চা টেস্টিং)
বিশেষত্ব: পৃথিবীর প্রথম অর্গানিক চা-বাগান, ব্রিটিশ বাংলোতে থাকার অভিজ্ঞতা।
৩. ছোটা মংপু বাংলো, দার্জিলিং
অবস্থান: মংপু চা-বাগানের কাছে।
খরচ: ₹২,৫০০–₹৬,০০০
বিশেষত্ব: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বাংলোতেই কাটিয়েছেন বহু সময়।
কীভাবে যাবেন:
বিমানপথে: বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ট্যাক্সিতে সরাসরি পৌঁছানো যায়।
রেলপথে: নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) স্টেশন থেকে ট্যাক্সি বা টয় ট্রেনে দার্জিলিং/কার্শিয়াং।
সড়কপথে: শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যায় সহজেই।
বুকিং:
ওয়েবসাইট: Booking.com, Airbnb, MakeMyTrip অথবা বাংলোদের নিজস্ব ওয়েবসাইট।অগ্রিম বুকিং করতে হবে। (বিশেষ করে পর্যটন মরশুমে)।
এছাড়াও অনেকগুলি চা-বাগান বাংলো রয়েছে এই রিজিয়নে। সেগুলিও অপরূপ সুন্দর ও বিনোদনে পূর্ণ। কিন্তু ব্রিটিশ আভিজাত্য সেখানে পাবেন না।