 দার্জিলিঙের পথে টয়ট্রেন যাত্রার সম্পূর্ণ গাইড, কী দেখবেন কী করবেন?
দার্জিলিঙের পথে টয়ট্রেন যাত্রার সম্পূর্ণ গাইড, কী দেখবেন কী করবেন?শীতের মরশুমে পাহাড়ে ফের উৎসবের আবহ। ডিসেম্বরেই দার্জিলিংয়ে শুরু হচ্ছে তৃতীয় বর্ষের মেলো টি ফেস্ট। পাহাড়ের হারানো জোয়ার ফেরাতে এবং এখানকার সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও চায়ের খ্যাতিকে সামনে আনতেই এই আয়োজন, জানিয়েছেন দার্জিলিং পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ।
২০২৩ সালে প্রথমবার হিল ম্যারাথনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল এই চা-উৎসব। এরপর থেকেই দার্জিলিংয়ের সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডারে এটি অন্যতম আকর্ষণ। এবছর উৎসব চলবে ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। উদ্বোধনের পর শেষ দিনে হিল ম্যারাথন দিয়ে হবে সমাপ্তি।
ব্যান্ডে-গানে জমজমাট
উৎসবের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ নেপালি ও পশ্চিমী ব্যান্ড প্রতিযোগিতা। গত বছর পাহাড়ি ব্যান্ডগুলির পারফরম্যান্স এতটাই প্রশংসিত হয়েছিল যে, পরবর্তী সময়ে তারা দেশের নানা প্রান্তে অনুষ্ঠান করেছে। এবছর সেই উৎসাহ দ্বিগুণ। মোট পুরস্কারমূল্য ২৮ লক্ষ টাকা। নেপালি ও পশ্চিমী বিভাগে প্রথম দল পাবে ৮ লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় ৪ লক্ষ টাকা, এবং তৃতীয় দল ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার। গত বছর যেখানে মোট পুরস্কার ছিল ২০ লক্ষ টাকা, এবারে তা বাড়িয়ে ২৮ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।
শুধু উৎসব নয়, এই আয়োজনের মধ্যে রয়েছে এক সামাজিক বার্তা। পাহাড়কে মাদকমুক্ত করা। পুলিশ প্রশাসনের দাবি, তরুণ প্রজন্মকে সংগীত, খেলাধুলা ও শিল্পের সঙ্গে যুক্ত করতে পারলেই তারা মাদকের নেশা থেকে দূরে থাকবে।
পুজোর পর ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ে ধস ও বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছিল পর্যটনে। সেই মন্থর গতি ফের চাঙ্গা করতেই এই আয়োজন। প্রশাসনের আশা, মেলো টি ফেস্ট চলাকালীন পাহাড়ে ফিরবে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড়।
পাহাড়ের নিজস্ত পণ্য
ফেস্টে থাকবে পাহাড়ের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির তৈরি পণ্যের স্টল, যেখানে তারা বিনামূল্যে অংশ নিতে পারবেন। পর্যটকরা এখান থেকে কিনতে পারবেন পাহাড়ি চা, হস্তশিল্প ও প্রাকৃতিক সামগ্রী। মেলো টি ফেস্ট এখন দার্জিলিংয়ের গর্ব। চায়ের সুবাস, পাহাড়ি সুর আর শীতের চাদরে মোড়া ডিসেম্বরে এক অনন্য অভিজ্ঞতা হতে চলেছে পর্যটকদের জন্য।