সম্পূর্ণ নতুন ৩ টি রুটে চলবে দার্জিলিঙের টয়ট্রেন, পুজোর আগেই চালুDarjeeling Toy Train Complete Guide: নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) থেকে দার্জিলিংয়ের পথে টয় ট্রেন মানেই যেন এক নস্ট্যালজিয়ার যাত্রা। ইউনেস্কো হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃত এই রেললাইন আপনাকে নিয়ে যাবে পাহাড়ি সৌন্দর্য আর কুয়াশার দেশে। সেই টয়ট্রেনকে আরও আকর্ষণীয় করতে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (DHR) আরও কিছু নতুন উদ্যোগ চালু করতে চলেছে।
এর মধ্যে প্রধান হল ছোট তিনটি নতুন রুটে টয়ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেকেই এনজেপি থেকে দার্জিলিংয়ের ৮ ঘণ্টার জার্নি করতে চান না। ওই সময়ে দার্জিলিং গিয়ে ঘুরে চলে আসা যায় গাড়িতে। তাই ছোট জয় রাইড ধরনের রুট চালু করা হচ্ছে। আবার অনেকের টয়ট্রেন চড়ার ইচ্ছা হলেও পাহাড়ে যেতে পারেন না। তাই এই বন্দোবস্ত এই পরিষেবাগুলো তাদের মন জয় করবে বলে আশাবাদী ডিএইচআর।
কোন কোন রুটে চলবে ট্রেন?
সুকনা থেকে রংটং, কার্শিয়াং থেকে মহানদী ও কার্শিয়াং থেকে টুং। এই তিনটি নতুন এই রুটকে বেছে নেওয়া হয়েছে। পুজোর আগেই এই পরিষেবা বা রাইড চালু হয়ে যাবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হবে। ভাড়া এখনও ঘোষণা না করা হলেও খুব বেশি থাকবে না। যেহেতু অল্প দূরত্ব। সেই সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত, কার্শিয়াংয়ের মিউজিয়াম ঘুরে দেখার সুযোগও থাকবে পর্যটকদের জন্য।
গত ৪ জুলাই সুকনায় ‘টয়ট্রেন দিবস’ উদযাপিত হল। ১৮৮১ সালে প্রথম যাত্রা করেছিল টয়ট্রেন। তখন অবশ্য শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল এই ঐতিহাসিক টয়ট্রেন। সেই ঐতিহ্যকে স্মরণে রাখতে এই প্রথমবার নর্থবেঙ্গল পেইন্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ও দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের যৌথ উদ্যোগে শিলিগুড়ির সুকনা স্টেশনে দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয় এই দিনটি। সকাল থেকেই চিত্র প্রদর্শনী ও বসে আঁকো প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্টেশন চত্বর জমজমাট হয়ে ওঠে। প্রায় শতাধিক ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে এই অনুষ্ঠানে। তাদের টয়ট্রেনেও চড়ানো হয়। তবে শুধু শিশুরাই নয়, শতাধিক চিত্রশিল্পীও তাঁদের তুলি আর রঙে ফুটিয়ে তোলেন দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের গৌরবগাথা।