Lataguri Hilsa Boroli Festival: আপাতত বন বিভাগের নিয়ম মেনে বন্ধ বর্ষার জঙ্গল। তিন মাস বন্য জীবদের প্রজনন মরশুমে তাদের বিরক্ত না করাই নিয়ম। তবে বর্ষার জঙ্গলের রূপ সবচেয়ে সুন্দর। জীব-জন্তু দেখাটাকেই জঙ্গল ভ্রমণের প্রাথমিক সাফল্য মনে না করলে অনেকেই ছুটে যান, জঙ্গলের শাল-পিয়ালের পাতা বেয়ে টুপটুপ জল পড়া দেখতেও। অনেকে বলেন এর আলাদা মাধুর্য আছে। তবে শুধু বসে থাকলে তো হবে না, পেটেও দানা-পানি দিতে হবে। তাই জঙ্গলের ধারে কোনও রিসর্টে বসে কবজি ডুবিয়ে খানা-পিনার বন্দোবস্ত থাকলে কেমন হয়। এই ভাবনা চিন্তাকে কাজে লাগিয়ে লাটাগুড়িতে শুরু হচ্ছে ইলিশ-বোরলি উৎসব।
গ্রীষ্ম শেষে বর্ষা নামলেই উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের জঙ্গল তিন মাসের জন্য বন্ধ হয়ে যায় বন দফতরের নিয়মে, যা পর্যটন শিল্পে বড় ধাক্কা। রিসর্ট, হোমস্টে, চালক, হকার, সকলেই পড়ে যান অর্থনৈতিক চাপে। তবে এবার সেই বন্ধ সময়েই লাটাগুড়িতে শুরু হচ্ছে এক অভিনব "ইলিশ ও বোরলি উৎসব"। যা অনুষ্ঠিত হবে ১ জুলাই, এক বেসরকারি রিসর্টে।
উৎসবটি যৌথভাবে আয়োজিত করছে হিমের পরশ ট্যুরস স্পেশালিস্ট এবং যশশ্বিনী ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস নামে একটি সংস্থা।এই উৎসবে মিলবে বাঙালির প্রিয় ইলিশ, সঙ্গে থাকছে তিস্তার তাজা বোরলি মাছ।
শুধু খাওয়া-দাওয়া নয়, থাকছে আদিবাসী নৃত্য, ভাওয়াইয়া গান সহ নানান লোকসংস্কৃতির পরিবেশনা। স্থানীয় রিসর্ট ও হোমস্টে মালিকরাও অংশ নেবেন, তুলে ধরবেন ডুয়ার্সের পর্যটনের সম্ভাবনা। এই উৎসব যেমন পর্যটকদের আকর্ষণ করবে, তেমনি স্থানীয়দের জীবিকাকেও দেবে নতুন দিশা। সব মিলিয়ে বন বন্ধের শূন্যতা ভরাট করতে আসছে উৎসবের স্বাদ, রসে-গন্ধে মাখা এক ইলিশ-ভরপুর মনভোলানো বর্ষার ডুয়ার্স।