ডুয়ার্সের জঙ্গল ঘেরা বাতাবাড়ি, ধুপঝোরা, লাটাগুড়ি—সবেতেই সাজসাজ রব। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের দু’ধারে লেগে রয়েছে সারি সারি হোটেল, রিসর্ট, বুটিক-স্টে। বাজেট থেকে সেমি-লাক্সারি, সব ধরনের থাকার বন্দোবস্ত আছে। বেসরকারি সংস্থা তো বটেই, বিনিয়োগ করেছেন স্থানীয়রাও।
ডুয়ার্সে বুকিং বেহাল
তবু পুজোর ঠিক আগে বুকিংয়ের হাল দেখে প্রমাদ গুনছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। শুধু গরুমারাই নয়, একই অবস্থা জলদাপাড়া, বক্সা, রাজাভাতখাওয়া বা জয়ন্তীর মতো চেনা গন্তব্যগুলিরও। প্রতি বছর এই সময়ে হোটেল-রিসর্টের বুকিং ঠাসা থাকে। এ বার এখনও অর্ধেক ঘরও ভরেনি। মঙ্গলবার থেকে গরুমারা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান খুলে গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বুকিংয়ে তেমন উৎসাহ নেই। অনেকেই শেষ মুহূর্তের ‘স্পট বুকিং’-এর দিকেই তাকিয়ে।
ইস্টার্ন ডুয়ার্স ট্যুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য়দের দাবি, হাতি সাফারি চালু হলেও তা ব্যয়বহুল। তুলনায় সস্তা জিপসি সাফারির প্রি-বুকিংই হচ্ছে না।’ স্থানীয় হোম-স্টে মালিকদের একটা অংশের দাবি, জঙ্গলের পর্যটনই একমাত্র রোজগার। বুকিং নেই মানে বড় ক্ষতি।
পাহাড়ে কী অবস্থা?
পাহাড়েও ছবিটা আলাদা নয়। কালিম্পং, দার্জিলিং, সিকিমের হোটেল-হোম-স্টে-তে ৩০-৪০ শতাংশ বুকিং কম বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। পর্যটন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুজো এ বার অনেকটাই আগে। বর্ষার রেশ এখনও কেটেনি। তার উপর, সিকিম যাওয়ার রাস্তা ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল দশা। ফলে অনেকেই প্ল্যান বদলে সরাসরি পাহাড়ে যাচ্ছেন, ডুয়ার্স বাদ দিচ্ছেন।তবে আশার কথা, জঙ্গল খুলে গিয়েছে। হাতে এখনও ১০ দিন। তাই এখনই হাল ছাড়তে নারাজ পর্যটন মহল। এখনও ভরসা, বাঙালির বেড়ানোয় ডুয়ার্সের ডাক ফাঁকা যাবে না।