Puja Tour Package NBSTC: পুজোর আর মাত্র ক’টা দিন বাকি। তার আগেই পুজো ঘিরে নতুন পরিকল্পনায় উদ্যোগী জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। এবার দুর্গাপুজোয় পুজো পরিক্রমার আয়োজন করতে চলেছে তারা। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম এবং একাধিক বেসরকারি পর্যটন সংস্থার সহযোগিতায় এই পরিক্রমা পরিকল্পনা করা হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, পুজোর ক’দিন এনবিএসটিসি-র বাসে ঘোরানো হবে জেলার বিভিন্ন বিগ বাজেটের পুজো।
সঙ্গে থাকবে সীমান্তবর্তী রাজবাড়ি, ডুয়ার্সের চা বাগান ও জঙ্গলের দুর্গাপুজোও। থাকবে মণ্ডপে গিয়ে অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থাও।
জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (পর্যটন) প্রিয়দর্শিনী ভট্টাচার্য বলেন, সরকারি বাসে করে দর্শনার্থীদের নির্দিষ্ট পুজো মণ্ডপে ঘোরানো হবে, পর্যটন সংস্থাগুলির কাছ থেকে বাছাই করা পুজোর তালিকা চাওয়া হয়েছে, আশা করছি ভালো সাড়া মিলবে।
রবিবার জলপাইগুড়ির মাদ্রাসা ময়দানে প্রশাসনের তরফে একপ্রস্থ বৈঠকও সেরে নেওয়া হয়েছে বেসরকারি পর্যটন সংস্থাগুলির সঙ্গে। তালিকায় রয়েছে জলপাইগুড়ি শহর, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, মালবাজার ও রাজগঞ্জ ব্লকের মণ্ডপ। পাশাপাশি, শিলিগুড়ির নামী পুজোগুলিকেও এই পরিক্রমার প্যাকেজে যুক্ত করার কথা ভাবছে প্রশাসন।
পরিক্রমার সময় ও রুট ঠিক করতে আগামী দিনে বসবে আর এক দফা বৈঠক। পুজোর দিনে সকাল থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে এই ঘোরা শেষ করতে চায় প্রশাসন। কারণ, ওই সময় ‘নো এন্ট্রি’ কার্যকর থাকে না শহরে।
পর্যটন সংগঠনগুলির প্রশংসা
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ট্রাফিক জ্যাম ও মণ্ডপে ভিড় এড়াতে সকাল থেকে বিকেলের মধ্যেই পরিক্রমা শেষ করতে হবে, তাহলে দুই শহরের বড় পুজোগুলো ঘোরা হয়ে যাবে। জলপাইগুড়ি ট্যুর অপারেটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফেও, জানানো হয়েছে, শুধু বিগ বাজেট নয়, সীমান্ত ও চা বাগানের পুজোও ঘোরানো উচিত।
টিকিট কোথায় পাবেন?
পরিক্রমা সফল করতে এনবিএসটিসি-র জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি ও মাল ডিপোতে চালু হবে আলাদা কাউন্টার।
থাকবে শহর এলাকায় মাইকিং ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার। জলপাইগুড়ি পুরসভায় আলাদা করে একটিও কাউন্টার খোলার কথাও জানিয়েছেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু এগোলে পুজোর ক’টা দিন এক নতুন রূপে ধরা দেবে জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির দুর্গাপুজো। পর্যটনের হাত ধরে উৎসবে যুক্ত হবে এক নতুন মাত্রা।