এই সিদ্ধান্তে ডুয়ার্সগামী পর্যটক এবং স্থানীয় মানুষের স্বস্তি ফিরেছে। বিশেষ করে শিলিগুড়ি থেকে লাটাগুড়ি হয়ে ডুয়ার্স যাওয়ার পথে এই সেতুটিই ছিল প্রধান ভরসা। সেতুটি বন্ধ থাকায় ঘুরপথে যেতে হচ্ছিল পর্যটকদের। এবার পুজোর ঠিক আগেই তা খুলে যাওয়ায় অনেকটাই সুবিধা হবে। গত বছর সিকিমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে এই সেতুর উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। সেই সময় থেকেই ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরই সেতুর সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
এদিকে, বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর আর মাত্র ২৭ দিন বাকি। ইতিমধ্যেই ডুয়ার্সের বহু হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টে ৫০ শতাংশের বেশি বুক হয়ে গেছে। কলকাতা ও অন্যান্য রাজ্য থেকে বহু পর্যটক আগেভাগেই বুকিং সেরে ফেলেছেন। তবে ট্রেনের টিকিট না মেলায় এখন অনেকে আর আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি, পর্যাপ্ত ট্রেন না থাকায় বুকিংয়ে কিছুটা ভাটা পড়েছে। তাই পুজোর মরশুমে বিশেষ ট্রেন চালানোর দাবি জানানো হয়েছে রেলের কাছে। ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি এবং লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই আলিপুরদুয়ার ডিআরএমকে চিঠি দেওয়া হবে এই বিষয়ে।
ডুয়ার্সের গোরুমারা, জলদাপাড়া, বক্সা, রাজাভাতখাওয়া, জয়ন্তী-সহ বিভিন্ন জায়গা পুজোর সময় পর্যটকে ভরে ওঠে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা আশাবাদী, যদি সময়মতো বিশেষ ট্রেন দেওয়া হয়, তাহলে এই মরশুমে বাকি হোটেলগুলিও পুরোপুরি বুক হয়ে যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।