Gorumara Forest Bungalow Booking: পুজোয় বনবাংলোয় রাত্রিযাপনে ধাক্কা, ডুয়ার্সের এই ফরেস্টে বুকিং বন্ধ

Gorumara Forest Bungalow Booking: চলতি মরশুমে এখনও বুকিং চালু হয়নি।পুজোর আর দু’মাসের কম সময় বাকি। ফলে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারছেন না কেউই, কারণ এখন থেকেই পর্যটকরা গুছিয়ে নেন। ফলে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। ফলে বহু পর্যটক উপায় না দেখে গরুমারা বাতিল করে অন্যত্র বুকিং করছেন।

Advertisement
পুজোয় বনবাংলোয় রাত্রিযাপনে ধাক্কা, ডুয়ার্সের এই ফরেস্টে বুকিং বন্ধপুজোয় বনবাংলোয় রাত্রিযাপনে ধাক্কা, ডুয়ার্সের এই ফরেস্টে বুকিং বন্ধ

Gorumara Forest Bungalow Booking: পর্যটকদের জন্য দুঃসংবাদ। মন খারাপ গরুমারা এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ীদেরও। কারণ পুজোর বুকিং করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। পর্যটকরা বুকিং করতে গেলেও গরুমারা বনাঞ্চলের কোনও বাংলো বা আবাসে বুকিং করতে পারছেন না।

গরুমারা(Gorumara) বন্যপ্রাণ বিভাগের আওতাভুক্ত কালিপুর, রাইনো ক্যাম্প, হর্নবিল, মৌচুকি, গাছবাড়ি, মূর্তি বনবাংলো রয়েছে। বন দফতরের নিয়মে বর্ষার তিন মাস বনবাংলোগুলি বন্ধ থাকে। কারণ এই সময় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জঙ্গলও বন্ধ থাকে। তবে যেহেতু ১৬ সেপ্টেম্বর জঙ্গল খুললেই পুজোর পর্যটন মরশুম শুরু হয়ে যায়, তাই অনলাইনে আগাম বুকিং চলতে থাকে। ৩ মাস আগে থেকেই অনলাইন বুকিং চালু হয়ে যায়। প্রতি বছর পুজোর তিন মাস আগে থেকেই এই সব বনবাংলোর বুকিং পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

কিন্তু চলতি মরশুমে এখনও অনলাইন বুকিং চালু হয়নি।পুজোর আর দু’মাসের কম সময় বাকি। ফলে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারছেন না কেউই, কারণ এখন থেকেই পর্যটকরা গুছিয়ে নেন। ফলে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। ফলে বহু পর্যটক উপায় না দেখে গরুমারা বাতিল করে অন্যত্র বুকিং করছেন। এর ফলে সমস্যা পর্যটকদের থেকে বেশি এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ীদের হচ্ছে। তেমনই ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন পর্যটন ব্যবসায়ী সহ বনবাংলোর খাবার ও দেখভালের দায়িত্বে থাকা যৌথ বন পরিচালন কমিটিগুলি। যদিও বন দপ্তর জানিয়েছে, বনবাংলোগুলি সংস্কারের জন্য আপাতত বুকিং বন্ধ রয়েছে। তবে পুজোর আগেই বুকিং স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে তাদের দাবি।

তেমনই ক্ষতির আশঙ্কা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। সমস্যার মুখে পড়তে চলেছেন যৌথ বন পরিচালন কমিটিগুলির সদস্যরাও। এমন পরিস্থিতি চললে পর্যটকদেরও উপস্থিতি কমবে। তাঁদের ক্যাটারিং ব্যবসাতেও টান পড়বে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের আওতাভুক্ত যে সমস্ত বনবাংলো রয়েছে সেগুলির সংস্কারের কাজ চলছে। সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ শেষ না করে সেগুলির বুকিং চালু করা হবে না।  কিন্তু কবে সংস্কার শেষ করে বুকিং চালু করা হবে, তা জানাতে পারেনি দফতরের কর্তারা।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement