NJP Alipurduar Vistadome Train: ১০ দিন বন্ধ ট্যুরিস্ট স্পেশাল, পর্যটন মরশুমে বিড়ম্বনায় ডুয়ার্সপ্রেমীরা

NJP Alipurduar Vistadome Train: ডুয়ার্সে পর্যটকের অভাব নেই। বড়দিন ও নতুন বছরকে কেন্দ্র করে পর্যটক বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এমন সময় ট্যুরিস্ট স্পেশাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে হতাশ হোটেল ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, ট্রেনটির জনপ্রিয় না হওয়ার জন্য রেলই দায়ী।

Advertisement
১০ দিন বন্ধ ট্যুরিস্ট স্পেশাল, পর্যটন মরশুমে বিড়ম্বনায় ডুয়ার্সপ্রেমীরা১০ দিন বন্ধ ট্যুরিস্ট স্পেশাল, পর্যটন মরশুমে বিড়ম্বনায় ডুয়ার্সপ্রেমীরা

NJP Alipurduar Vistadome Train: নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার জংশন ভিস্টাডোম ট্যুরিস্ট স্পেশাল কি বন্ধ করে দিচ্ছে রেল? এই প্রশ্নই উঠছে যাত্রীসংখ্যা তলানিতে ঠেকায়। রেলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রেনটির চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। যদিও রেল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ পর্যটন মহল।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম আশিফ আলি জানান, ভিস্টাডোমে এখন যাত্রী তেমন নেই। তাই আপাতত ১০ দিনের জন্য ট্রেনটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেল সূত্রের দাবি, এনজেপি থেকে কিছু যাত্রী মিললেও ফিরতি পথে আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে কোচ কার্যত খালিই থাকত। ফলে জ্বালানি খরচও উঠছিল না।

ডুয়ার্সে পর্যটকের অভাব নেই। বড়দিন ও নতুন বছরকে কেন্দ্র করে পর্যটক বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এমন সময় ট্যুরিস্ট স্পেশাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে হতাশ হোটেল ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, ট্রেনটির জনপ্রিয় না হওয়ার জন্য রেলই দায়ী।

পর্যটন মহলের বক্তব্য, ভিস্টাডোমের ভাড়া অত্যন্ত বেশি। বর্তমানে এনজেপি থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত ভিস্টাডোম কোচে যাত্রীপিছু ভাড়া ৮৪০ টাকা। ফলে চারজনের একটি পরিবারের খরচ দাঁড়ায় ৩,৩৬০ টাকা। এই কারণে অনেক পর্যটক ট্রেন বাদ দিয়ে গাড়ি রিজার্ভ করতেই বেশি আগ্রহী হচ্ছেন।

এ ছাড়াও ট্রেনের সময় নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ভিস্টাডোমটি সকাল ৭টা ২০ মিনিটে এনজেপি থেকে ছাড়ে। অথচ ওই সময়ের মধ্যে শিয়ালদা থেকে ছাড়া দার্জিলিং মেল বা পদাতিক এক্সপ্রেস এনজেপিতে পৌঁছায় না। ফলে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের পর্যটকদের পক্ষে এই ট্রেন ধরা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৮ অগাস্ট ভিস্টাডোম ট্যুরিস্ট স্পেশাল চালু হয়। প্রথম দিকে পর্যটকদের আগ্রহ থাকলেও ধীরে ধীরে তা কমতে থাকে। চাহিদা দেখে এক সময় সপ্তাহে তিন দিনের বদলে ছ’দিন চালানো হয় এবং একটি কোচের পরিবর্তে দুটি ভিস্টাডোম কোচও জোড়া হয়।

যাত্রী বাড়ানোর লক্ষ্যে আলিপুরদুয়ার ডিভিশন রেল বোর্ডের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল-সপ্তাহে তিন দিন এনজেপি থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন মেইনলাইনে এবং বাকি চার দিন মালবাজার, লাটাগুড়ি, চ্যাংরাবান্ধা রুটে চালানোর। সেই প্রস্তাবের অনুমোদন আসার আগেই আপাতত ১০ দিনের জন্য ট্রেন বন্ধ হয়ে গেল।

Advertisement

আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট হোটেল অ্যান্ড রিসর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক পবন পুরোহিত বলেন, বন দপ্তরের একাধিক বিধিনিষেধে পর্যটন ব্যবসা প্রভাবিত হচ্ছে। পর্যটকদের থাকা ও ঘোরার খরচ বেড়েছে। তার উপর ডুয়ার্স পর্যটনের তেমন প্রচার নেই বাইরে। সব মিলিয়েই ভিস্টাডোমে যাত্রী কমছে। ডুয়ার্স পর্যটনের কথা মাথায় রেখেই এই ভিস্টাডোম যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেই ট্রেনই বন্ধের মুখে। এই খবরে বিস্মিত আলিপুরদুয়ারবাসী ও পর্যটন মহল।

 

POST A COMMENT
Advertisement