Paragliding Resume At Kalimpong Hills: পাখির মতো উড়ে বেড়ানোর সুযোগ পাহাড়ে, পুজোর মুখে জোড়া সুখবর পর্যটকদের জন্য

Paragliding Resume At Kalimpong Hills: সোমবার থেকে ফের চালু হচ্ছে এই অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস। বর্ষার কারণে কয়েক মাস বন্ধ রাখা হয়েছিল পরিষেবা। তবে এবার, পুজোর আগেই পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে আকাশে ভেসে বেড়ানোর এই রোমাঞ্চকর দরজা।

Advertisement
পাখির মতো উড়ে বেড়ানোর সুযোগ পাহাড়ে, পুজোর মুখে জোড়া সুখবর পর্যটকদের জন্যপাখির মতো উড়ে বেড়ানোর সুযোগ পাহাড়ে, পুজোর মুখে জোড়া সুখবর পর্যটকদের জন্য

Paragliding Resume At Kalimpong Hills: পাহাড় আর মেঘের দেশ ডুয়ার্সে বেড়াতে গিয়ে আকাশে পাখির মতো উড়ে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখেন? পুজোর মুখে সেই স্বপ্ন পূরণের সুযোগ এনে দিল গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (GTA)। পুনরায় চালু হচ্ছে ডেলোর প্যারাগ্লাইডিং (Delo Paragliding)। 

জিটিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে ফের চালু হচ্ছে এই অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস। বর্ষার কারণে কয়েক মাস বন্ধ রাখা হয়েছিল পরিষেবা। তবে এবার, পুজোর আগেই পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে আকাশে ভেসে বেড়ানোর এই রোমাঞ্চকর দরজা। জিটিএ পর্যটন বিভাগের ফিল্ড ডিরেক্টর দাওয়া গ্যালপো শেরপা জানালেন, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমকে জনপ্রিয় করে তুলতেই এই পদক্ষেপ। সুরক্ষার দিকেও থাকবে কড়া নজর।

ডেলো প্যারাগ্লাইডিং অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত বিপিন গোলে জানান, মাথাপিছু ৩,৫০০ টাকা খরচে এই অভিজ্ঞতা উপভোগ করা যাবে। থাকবেন দক্ষ পাইলট ও প্রয়োজনীয় সব সুরক্ষা ব্যবস্থা। সবদিক বিচার করেই পরিষেবা পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে, কালিম্পং জেলার চুইখিম পাহাড়েও খুব শিগগির চালু হচ্ছে প্যারাগ্লাইডিং। ইতিমধ্যেই দু’দিন ধরে ট্রায়াল রান সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। এই কাজের তত্ত্বাবধানে আছেন ডেলোরই অভিজ্ঞ পাইলট রূপক শর্মা ও প্রশিক্ষিত ইনস্ট্রাক্টররা। চুইখিম ভিলেজ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি হোম খাওয়াস সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্যারাগ্লাইডিং চালু করতে প্রশাসনিক স্তরে যেসব প্রস্তুতি দরকার, তার অধিকাংশই শেষ। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই পরিষেবা শুরু হয়ে যেতে পারে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।

লুপপুল পেরিয়ে একটুখানি পাহাড়ি পথ চুইখিম। নির্জন, শান্ত এই গ্রাম আজ ধীরে ধীরে পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিচ্ছে। এক সময় শুধু কৃষিকাজ নির্ভর ছিল এই অঞ্চল। কিন্তু গত দু’দশকে হোমস্টে, ট্রেকিং, বার্ডওয়াচিং ইত্যাদিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটনের নতুন চেহারা।

৭১৭এ জাতীয় সড়কের সৌজন্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাও আগের তুলনায় অনেক উন্নত। ফলে ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে চুইখিম হয়ে উঠছে এক নতুন ঠিকানা। দার্জিলিংয়ের জলাপাহাড় ও কালিম্পংয়ের ডেলোর পর এবার চুইখিম হতে চলেছে তৃতীয় প্যারাগ্লাইডিং স্পট। এই উদ্যোগ ঘিরে স্থানীয় যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে। অনেকেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, প্রস্তুতি নিচ্ছেন নতুন পর্যটন মরশুমের জন্য।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement