
বাঙালির অন্যতম পছন্দের জায়গা পুরী।বাঙালি মানেই ফুরসত পেলে বাক্স-প্যাঁটরা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। আর বাঙালির কাছেপিঠে বেড়ানোর অন্যতম প্রিয় ডেস্টিনেশন হল 'দীপুদা'। এর মধ্যে অন্যতম প্রিয় বেড়ানোর জায়গা হল পুরী। সমুদ্র, জগন্নাথ দর্শন, ২-৩ দিনের ছুটিতেই পুরী ঘোরা হয়ে যায়। আর খরচও সাধ্যের মধ্যে থাকে।
পুরী মানেই বাঙালির কাছে এক আবেগ। সৈকত শহরের মূল আকর্ষণ সমুদ্র ঠিকই, পাশাপাশি জগন্নাথ মন্দিরের প্রতি সকলের টান থাকে। সেই টানেই পুরীতে সবসময় ভিড় লেগে থাকে। মাস পেরোলেই দুর্গাপুজো। উৎসবের মরশুমে অনেকেই পুরী বেড়াতে যান।
তবে পুরী মানে এখন আর শুধু সমুদ্র এবং জগন্নাথ দেবের দর্শন নয়, তার পাশাপাশি ঘুরে আসতে পারেন এই সমস্ত অফবিট জায়গায়। পুরীর কাছেই এই জায়গাগুলিতে ঢুঁ মারলে মন ভাল হবেই। ইদানীং পুরীর এই অফবিট লোকেশনগুলির জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে।

গোল্ডেন বিচ
সমুদ্র অনেকেরই প্রিয়। তবে পুরীতে সমুদ্রে সবসময়ই প্রায় ভিড় লেগে থাকে। অনেকেই সমুদ্রে নির্জনে সময় কাটাতে চান। তাঁদের জন্য পুরীতে রয়েছে গোল্ডেন বিচ। এই সমুদ্র সৈকত দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এটা গোয়া না পুরী। মাত্র ২০ টাকায় গোল্ডেন বিচ ভাল ভাবে উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা।
রঘুরাজপুর
পুরী গেলে ঘুরে আসতে পারেন রঘুরাজপুরে। শিল্পীদের এই গ্রামে গেলে চমকে যাবেন। গ্রামের প্রতিটি পরিবার এখানে পটচিত্র আঁকেন। গ্রামের সব বাড়ির দেওয়ালে কারুকাজ করা।

পিপলি
পুরী বেড়াতে গেলে ঘুরে আসতে পারেন আরও এক শিল্পী গ্রামে, যার নাম পিপলি। এই গ্রামে হাতের কাজের নানা সরঞ্জাম পাওয়া যায়।
সামনেই পুজো। এবার পুরী বেড়াতে গেলে ঘুরে আসুন এই তিন অফবিট লোকেশনে। মন ভাল হয়ে যাবে। ভাল সময়ও কাটবে।