Wildlife Tourism North Bengal: উত্তরবঙ্গের এই বাংলোগুলিতে থেকেছেন? জানলা খুললেই বন্যজন্তুদের আনাগোনা

Wildlife Tourism North Bengal: উত্তরবঙ্গের অরণ্যঘেরা অঞ্চলগুলি শুধু শীতকালীন পর্যটনের জন্য নয়, বরং জঙ্গলপ্রেমীদের কাছেও এক স্বর্গস্বরূপ। এখানে রয়েছে ভারতের অন্যতম সেরা গন্ডারদর্শন এলাকা, বিশেষ করে জলদাপাড়া, চাপরামারি, ও গরুমারা অভয়ারণ্য।

Advertisement
উত্তরবঙ্গের এই বাংলোগুলিতে থেকেছেন? জানলা খুললেই বন্যজন্তুদের আনাগোনাএই বাংলোগুলির জানালা খুললেই দেখা মেলে বন্যজন্তুর

Wildlife Tourism North Bengal: উত্তরবঙ্গে এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে রিসোর্ট বা বন বাংলোর বারান্দা থেকেই দেখা যায় গন্ডার, হরিণ, বাইসন কিংবা বুনো হাতি। প্রকৃতির কোলে বসে এই অভিজ্ঞতা সত্যিই অনন্য। ঘুরে আসুন সেইসব লোকেশন, যেখানে জঙ্গল যেন হাতছানি দেয় অনন্ত বিস্ময়ে।

উত্তরবঙ্গের অরণ্যঘেরা অঞ্চলগুলি শুধু শীতকালীন পর্যটনের জন্য নয়, বরং জঙ্গলপ্রেমীদের কাছেও এক স্বর্গস্বরূপ। এখানে রয়েছে ভারতের অন্যতম সেরা গন্ডারদর্শন এলাকা, বিশেষ করে জলদাপাড়া, চাপরামারি, ও গরুমারা অভয়ারণ্য।

১. জলদাপাড়া ন্যাশনাল পার্ক (Alipurduar):
এখানে প্রায় ২৫০টিরও বেশি এক-শৃঙ্গ গন্ডার রয়েছে। হোলং ফরেস্ট বাংলো-তেই এমন জায়গা আছে যেখানে জানলা খুললেই দেখা যায় গন্ডার, বাইসন, এমনকি হরিণের ঝাঁক।

২. গরুমারা ন্যাশনাল পার্ক (Lataguri):
জলদাপাড়ার থেকে কিছুটা ছোট হলেও গরুমারাতে গন্ডার সহ নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। গরুমারা ইকো ভিলেজ রিসোর্ট বা সুলকাপাড়া ফরেস্ট বাংলো থেকে এমন দৃশ্য উপভোগ করা যায়।

৩. চাপরামারি ও সংলগ্ন এলাকা:
এই এলাকায় বেশি দেখা যায় হাতি ও বাইসন। চাপরামারি ফরেস্ট বাংলো থেকে ভোর বা সন্ধ্যাবেলা বাইসন বা হাতির দল দেখা খুবই সাধারণ ঘটনা।

৪. বক্সা টাইগার রিজার্ভ:
যদিও এখানে গন্ডারের সংখ্যা কম, তবে বুনো হাতি ও চিতলের দেখা মেলে। সাফারি ও ট্রেকিংয়ের সুযোগ রয়েছে।

৫. ঝালং-ভুটান সীমান্তের সংলগ্ন বনাঞ্চল:
গোটা বছর জুড়েই বন্যপ্রাণীদের আনাগোনা লেগেই থাকে। কিছু নিরিবিলি রিসোর্ট থেকেও মাঝে মাঝে দেখা মেলে গন্ডার বা বাইসনের।

পরামর্শ:
ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে গেলে বন্যপ্রাণী দেখার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। বুকিংয়ের সময় নিশ্চিত হয়ে নিন, বাংলো বা রিসোর্ট জঙ্গলমুখী কিনা। অন্য সময়েও দেখা যেতেই পারে। সম্পূর্ণ আপনার কপালের উপর। বিশেষ করে জলদাপাড়া বাংলোর জানালা কিংবা বারান্দা থেকে প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায় পাশ্বর্বর্তী ঘাসজমিতে চরতে আসা হরিণ, গণ্ডার, বাইসনদের। এখানে প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী জ্য়েতি বসু নিয়মিত আসতেন বন্যপ্রাণ দর্শনে। বুকিং পাওয়া শক্ত। অনেক আগে থেকে বুক হয়ে যায়।

Advertisement

কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে ট্রেন আসলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা। প্রয়োজনমতো আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালবাজার স্টেশনগুলিতে সরাসরি ট্রেন পৌঁছয় শিয়ালদা থেকে। বাসেও আসা যায়। তবে বিমানে আসলে শিলিগুড়িতে নেমে ফের গাড়িভাড়া করে বা আলাদা বাস, ট্রেনে যেতে হবে।

 

POST A COMMENT
Advertisement