Tourism Malda Adina Park: পুজোর আগেই আরও একটি সুখবর। বন্ধ থাকা একাধি পুজোর ছুটি মানেই রোজকার নিয়মের বেড়াজাল ভেঙে বাইরে ঘুরতে বেরিয়ে পড়া। আর ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের কাছে ডুয়ার্স বড্ড পছন্দের জায়গা। এবার পুজোয় ডুয়ার্সের পর্যটকদের জন্য রয়েছে একের পর এক বিরাট চমক। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পুজোর মুখেই খুলে যাচ্ছে একদা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ চাপরামারি ওয়াইল্ডারনেস ক্যাম্প। ফলে বাড়তি বিকল্প তৈরি হবে পর্যটকদের কাছে। খুশি সব মহলই।
চাপরামারি ওয়াইল্ডারনেস ক্য়াম্পের বিষয়ে স্থানীয় ইকো ডেভলপমেন্ট কমিটির সম্পাদক অমৃত ছেত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০০৫ সালে পর্যটকদের জন্য বন বিভাগ এই ক্যাম্প নির্মাণ করেছিল। পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল এই কেন্দ্র। বেড়ে যায় পর্যটন আনাগোনাও। এরপর করোনার অন্ধকার সময়ে সব পর্যটনকেন্দ্রের সঙ্গে এটিও বন্ধ হয়ে যায়। পরে ধীরে ধীারে অন্য কেন্দ্রগুলি খুললেও এটি খোলেনি। তবে ট্যুরিস্টদের কাছে আকর্ষণ বিন্দুমাত্রা কমেনি। ফোন করে পর্যটকরা সব সময় খোঁজ নিয়েছেন, কবে এটি চালু হবে, বুকিং কীভাবে করবেন তা নিয়ে।
পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ইডিসি কমিটির পক্ষ থেকে কিছুদিন আগেই রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে এই ক্যাম্প আবার চালু করার আবেদন করেন। তার পজিটিভ রেসপন্স মিলেছে। সপ্তমীর আগেই তা খুলে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। পাহাড়ের ঢালে এক মনোরম পরিবেশে চাপরামারি ওয়াইল্ডারনেস ক্যাম্পের কর্মীরা আশাবাদী এই পানঝোরা বনবস্তির প্রায় পঞ্চাশ জন এখানে কাজ করত> এখন কাজ নেই অনেক কষ্টে চলে সংসার। ফের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
বহু দিন পর পুনরায় জঙ্গলঘেরা পানঝোরা বনবস্তিবাসীদের মধ্যেও উৎসাহ। এক সময় জাতীয় সড়ক ধরেই জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকে যাওয়ার সময় মূর্তি নদীর সেতু পার হওয়ার সময় দেখা যেত দূরে পাহাড়ের টিলায় গুটি কয়েক কুটির। আজ দেখা যায় না। তবে পানঝোরা বনবস্তির মধ্যে দিয়ে রীতিমত ঝোপঝাড় জঙ্গল পেরিয়ে আজও পৌঁছোন যায় এক অপরূপ সুন্দর জায়গায়। সেটি হল এই ওয়াইল্ডারনেস ক্যাম্পটি। গণ্ডার, হাতি, সম্বর, বাইসন, লেপার্ডের স্বর্গরাজ্য।