২৭০ ডিগ্রি ভিউতে সূর্যোদয়, দার্জিলিঙের টাইগার হিলে তৈরি হবে নতুন জিনিসসাইট সিয়িং ঘিরে পাহাড় ও সমতলের গাড়ি চালকদের বিরোধে ফের অশান্তির ছবি। শুক্রবার থেকে টাইগার হিলে পর্যটক নিয়ে যাওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল পাহাড়ের গাড়ি চালকেরা। শীতের মরশুমে আবহাওয়া পরিষ্কার থাকায় বড়দিন ও নববর্ষে বহু পর্যটক টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখতে যান। কিন্তু চালকদের এই আন্দোলনের জেরে আপাতত সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হতে পারে পর্যটকদের।
জিটিএ ট্র্যাফিক কমিটির ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ
পাহাড়ের সংযুক্ত চালক সংগঠন প্রকাশ্যে পাহাড়-সমতল বিরোধ নিয়ে মন্তব্য না করলেও, জিটিএ ট্র্যাফিক অ্যাডভাইসরি কমিটির ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন চালকরা। তাঁদের অভিযোগ, সমস্যা মেটাতে কোনও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ টাইগার হিলে পর্যটক নিয়ে যাওয়া প্রতিটি গাড়ি থেকে ২০ টাকা করে ফি আদায় করা হচ্ছে। শুক্রবার থেকে টাইগার হিলে যেমন যাবেন না, তেমনই এই ফি-ও দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পাহাড়ের চালকরা।
সমতলের গাড়িতে আপত্তি পাহাড়ের চালকদের
অনেক পর্যটকই সমতল থেকে গাড়ি বুক করে পাহাড়ে আসেন এবং একই গাড়িতে করে টাইগার হিল বা অন্য দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখেন। এখানেই আপত্তি পাহাড়ের চালকদের। তাঁদের দাবি, সমতলের গাড়ি চালকেরা যেন পাহাড়ে সাইট সিয়িং না করান।
লেবংয়ের ঘটনার ছায়া
সম্প্রতি লেবং এলাকায় সমতলের চারটি পর্যটকবাহী গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। ওই ঘটনার নেপথ্যে পাহাড়ের চালকদের উস্কানি ছিল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার সমতলের চালকরা যদি টাইগার হিলে পর্যটক নিয়ে যান, পাহাড়ের চালকরা বাধা দেবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পর্যটকদের ভোগান্তির আশঙ্কা
চালকদের মধ্যে বিরোধ মিটে না গেলে পর্যটকদের সমস্যায় পড়তে হবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গাড়ির অভাব দেখা দিতে পারে, সেই সঙ্গে বাড়তে পারে ভাড়াও।
সমাধানের আশায় বৈঠক
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন,
“টাইগার হিলে সমতলের গাড়ি গেলে নতুন করে বিরোধ তৈরি হবে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা কোনও বিরোধ চাই না। সব গাড়ি চালক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সেখানেই পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে। দ্রুত সমাধান বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”