Siliguri To Gorumara Cheap Travel And Secret Route With Only 45 Rupees Fare: পুজোর ছুটি মানেই দার্জিলিং পাহাড় না হয় ডুয়ার্সের জঙ্গল। সব সময় হিল্লি-দিল্লি যাওয়া হয় না। সময়ের অভাব ও আর্থিক চাপ থাকেই। তাই বলে কি ঘুরুঘুরু হবে না? নিশ্চয় হবে। ফলে হাতের কাছে যদি এত সুন্দর প্রকৃতির সম্ভার থাকে, কম খরচে কেই বা তা মিস করতে চায়? তবে পাহাড়ে খরচ অবশ্য মোটেই কম নয়, বাইরের অনেক জায়গায় ঘুরে আসা যায়। দার্জিলিং ঘুরে আসার খরচে অনেক কমে। তবে ডুয়ার্সে এখনও পর্যন্ত কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে খরচ। তবে পাহাড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গাড়ি ভাড়া বাড়ছে ডুয়ার্সের জঙ্গল রোড গুলিতেও।
যদি শিয়ালদা কিংবা হাওড়া থেকে অথবা দমদম বিমানবন্দর থেকে বিমানে অথবা ট্রেনে শিলিগুড়ি এসে পৌঁছন, সেখান থেকে ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে মাথাপিছু কয়েক হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। থাকার খরচ বাদই দিলাম। শুধু যাতায়াতেই মোটা টাকা গচ্চা যায়। তার উপর পর্যটন মরশুমে গাড়িভাড়া খানিকটা বেশিই পড়ে।
কিন্তু গোপন কিছু রুট জানা থাকলে কিন্তু দিব্যি সস্তায় বেশ কিছু জায়গা ঘুরে আসা যায়। একদম জলের দরে। আজ আপনাদের জানাব এমন এক ব্যবস্থার কথা, যাতে আপনি মাথাপিছু মাত্র ৪৫ টাকায় এনজেপি থেকে ডুয়ার্সে চলে যেতে পারবেন, তাও আবার প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে করতে। চলুন জেনে নিই।
আজকে আমরা আলোচনা করব, যাঁরা গরুমারাতে ঘুরতে যেতে চান, তাঁদের জন্য গরুমারার জঙ্গল অর্থাৎ লাটাগুড়ি রেলস্টেশনে যেতে হবে। লাটাগুড়ি ঘুরতে গেলে আমরা সাধারণত এনজেপি স্টেশনে নেমে চলে যাই শিলিগুড়ি জংশন, তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস এলাকায়। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে অথবা সরাসরি এনজেপি থেকেও গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায় লাটাগুড়ি, গরুমারা ঘুরতে যেতে।
প্রতিটি গাড়ি ভাড়া করে মোটামুটি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা করে নেবে। জনা চারেকের টিম থাকলে মাথাপিছু খরচ পড়ে যায় ১ হাজার টাকা করে। অর্থাৎ যেতে আসতে দু'হাজার টাকা চলে গেল। এখানে তারপর যদি সাইট সিন করতে চান, তার জন্য বাড়তি গাড়ি ভাড়া দিতে হবে। যাই হোক আজকে আমরা আপনাদের একটি সিক্রেট রোডের কথা জানাবো যা কলকাতা তো বটেই শিলিগুড়ির অনেকেই জানেন না।
শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৪৫ টাকায় ঘুরে আসা যায় লাটাগুড়ি ও গরুমারা থেকে। এই রুটের প্রচার কম। তাই জনপ্রিয়তাও তেমন নেই। অথচ নিয়মিত যাতায়াত করা যায়, এই রুটে আসুন আমরা জেনে নিই।
লাটাগুড়ি পর্যন্ত ট্রেনে
শিলিগুড়ি জংশন থেকে প্রতিদিন একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন অসমের নিউ বঙ্গাইগাঁও পর্যন্ত যায়। যেটি সেবক-মালবাজার হয়ে লাটাগুড়ি স্টেশনে থামে। এই ট্রেনটি সকাল জংশন স্টেশন থেকে ছেড়ে রওনা হয় লাটাগুড়ির উদ্দেশ্যে।
এর ভাড়া ৪৫ টাকা?
আর এর ভাড়া মাত্র ৪৫ টাকা মাথাপিছু। অর্থাৎ আবার এনজেপি ফিরে আসতে আপনার খরচ হবে মাত্র ৪৫ টাকা করে মাত্র ৯০ টাকা। এবার বেঁচে যাওয়া টাকায় দেদার ঘুরুন, খাওয়া-দাওয়া করুন, কে আটকাচ্ছে? লাটাগুড়ি এমনি খুব ছোট্ট জনপদ। হেঁটেই আধঘন্টায় গোটা লাটাগুড়ি ঘুরে ফেলতে পারবেন।
০৭২৫২ শিলিগুড়ি জংশন- বঙ্গাইগাঁও স্পেশাল সিক্রেট রুটে শিলিগুড়ি জংশন থেকে শুরু করে গুলমা, সেবক, বাগরাকোট, ওদলাবাড়ি, ডামডিম, নিউ মাল জংশন, মালবাজার, বড়দিঘি, নেওড়া নদী, লাটাগুড়ি স্টেশনে পৌঁছবেন।
সপ্তাহে ৬ দিনই ট্রেনটি চলে। রবিবার বাদে। শিলিগুড়ি জংশন থেকে ট্রেন ছাড়ার সময় ১০:৫০। ফলে দার্জিলিং মেল, পদাতিক, কাঞ্চনকন্যাতে নেমে অনায়াসে ট্রেনটি ধরতে পারবেন। আবার ফেরার সময় শিলিগুড়ি-বামন হাট ডেমু ট্রেনে লাটাগুড়ি থেকে ৮:৫৩ তে ছাড়ে। কিংবা যে ট্রেনটিতে গেলে সেটি ০৭৫১৩ ডাউন বঙ্গাইগাও-শিলিগুড়ি প্যাসেঞ্জার লাটাগুড়ি থেকে ১২ টা ১৫ তে ছাড়ে। দুটি ট্রেনেই রবিবার বাদে সবদিনই শিলিগুড়ি আসে।