২০২৩-কে বিদায় জানানোর সময় আসন্ন। এই বছরটি আমার ব্যক্তিগত জীবনে এবং রাজনৈতিক জীবনে এক স্মরণীয় ভূমিকা রেখে গেল। বলা যেতে পারে সেগুলো আমার জীবনের শিক্ষা। যা হয়তো আমাকে হাতে-কলমে অনেক কিছু শিখিয়ে দিযে গেল।
দীর্ঘ দিনের বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কে ভাঙন আমাকে শিখিয়েছে, বিশ্বাস আর ভরসার মধ্যে সূক্ষ্য পার্থক্য , রাজনীতিতে তিলে তিলে গড়ে তোলা পিরামিডের চূড়া থেকে একদম আচমকা মাটিতে পতন, এসব হয়েছে আমার সঙ্গে। এবছরই আমি রপ্ত করেছি নীতি আর নেতার ফারাক,উপলব্ধি করেছি মুখ আর মুখোশের পার্থক্য। বাড়ি থেকে অনভিপ্রেতভাবে কর্মস্থলের দূরত্ব বেড়ে যাওয়া আমাকে বুঝিয়েছে পরিবার কাকে বলে। ঠিক যেন হোম আর হাউসের পার্থক্য।
আমি আজও শিখে চলেছি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কীভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে লড়াইয়ের ময়দানে জিততে হয়। জীবনে কখনও কখনও ঝড় ওঠা ভালো, কারণ সেই ঝড়ই পারে এক লহমায় আপনার জীবনে জমতে থাকা আবর্জনাগুলোকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে। প্রকৃতির নিয়ম বলে ধ্বংসের পর সৃষ্টি আসে। ঝড়ের পর পরিবেশ শান্ত হয়। এলোমেলো জীবন টা কে ধীরে ধীরে পুনরায় গুছিয়ে নিতে হবে, আরোও শক্ত করে ঘর বাঁধতে হবে, নতুন উদ্যমে। দেখা হবে ২০২৪-এ।
নিজের লড়াই নিজেকেই লড়তে হয়। মনে রাখতে হবে নীতির সঙ্গে আপোষ করে কখনও নেতা হওয়া যায় না। তার জন্য যদি ত্যাগ স্বীকার করতে হয় তাহলে করতে হবে। কারণ নেতা হওয়ার প্রথম শর্তই হল তোমাকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। যার কোনও নীতি নেই, সে কখনও নেতা নয়। নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে নিজের অনুগামীরা সর্বদা তোমায় নিয়ে গর্ব অনুভব করতে পারে। ক্ষমতা ভোগই যদি জনপ্রিয়তা এনে দিতে পারত তবে লোকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে ভুলে গিয়ে নেহেরুকে নিয়ে মেতে থাকত!