Coachbehar: নিশীথ প্রামাণিক হারতেই একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হচ্ছে বিজেপির। কার্যত কোচবিহারে বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্দরান ফুলবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির ৩ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের হাত ধরে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন। এর ফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল। তবে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এখনও বিজেপিতে রয়েছে। কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁরা খুব শীঘ্রই অনাস্থা এনে প্রধানকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবেন। নতুন প্রধান নির্বাচন করা হবে। যা শুধু সময়ের অপেক্ষা
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি ৯ ও তৃণমূল ৩টি আসনে জয়ী হয়। কিছুদিন আগে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ দু’জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর এদিন বিজেপির ৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দিতেই ১২ আসনের এই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৮। এর আগে লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর জেলায় ভেটাগুড়ি-১, ভেটাগুড়ি-২ মাতালহাট সহ বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে তৃণমূল।
এর আগেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির নিশীথ প্রামাণিকের খাসতালুক ভেটাগুড়ি ২ থেকে ৯ সদস্য যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। তারপর ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই ভেটাগুড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতও বিজেপির হাতছাড়া হওয়ার মুখে। একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বিজেপি নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের হিড়িক শুরু হয়েছে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার।
লোকসভা ভোটে (Lok sabha election 2024) হারতেই কোচবিহারে বিজেপির সংগঠন তাসের ঘরের মতো ভাঙছে। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাজ্যে যে কটি আসন হিংসার জন্য চর্চিত ছিল, তার মধ্যে শীর্ষে ছিল দিনহাটাই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বনাম রাজ্য়ের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ লড়াই সামনে এসেছিল। একাধিকবার রক্তাক্ত হয়েছে এলাকা। প্রকাশ্যে মারামারিও দেখা গিয়েছে দুই মন্ত্রীর মধ্যে। যার ফল ভোটে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।