অনুব্রতে গড়ে জয়ী BJP-র দুধকুমার মণ্ডল। ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী ছিলেন। সেখানে জয়ী হয়েছেন তিনি। দুধকুমার মণ্ডল জানান, এই জয় অনুব্রত মণ্ডল ও তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জয়। এই জয়ের ফলে বোঝা যাচ্ছে, মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ৯ টি আসন। তার মধ্যে দুটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি ৭ আসনের মধ্যে একটিতে ইতিমধ্যেই জিতেছেন বিজেপির দুধকুমার মণ্ডল। বাকি আসনগুলিতে সেকেন্ড রাউন্ড গণনা শুরু হবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭ আসনের মধ্যে ৪ টিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। বাকি ৩ আসনে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, এর আগেও এই পঞ্চায়েত থেকেই সদস্য হয়েছিলেন দুধকুমার মণ্ডল। দুধকুমার ১৯৮৮ সালে প্রথম বার বীরভূমের ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হন। ২০১৮ সালেও তিনি পঞ্চায়েতে জিতেছেন। এই রাজ্যে যখন বিজেপির কোনও সংগঠন ছিল না তখনই পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়েছিলেন বীরভূমের বিজেপি নেতা। জিতেওছিলেন এই RSS প্রচারক।
বীরভূমে একটা সময় জমে উঠেছিল অনুব্রত বনাম দুধকুমারের লড়াই। স্থানীয় বাসিন্দারা বলতেন, অনুব্রতর চোখে চোখ রেখে কথা বলার ক্ষমতা একজনেরই ছিল, সেটা দুধকুমার। সেই দুধকুমারের জয়ে উচ্ছ্বসিত বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে একাধিকবার দাঁড়ালেও কোনওবারই জিততে পারেননি দুধকুমার মণ্ডল। তবে তিনি পঞ্চায়েতে যে অপ্রতিরোধ্য তা যেন ফের প্রমাণ করল এই জয়।
জয় নিয়ে দুধকুমার বলেন, 'এই জয় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে শুধু নয়। তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জয়। বীরভূমে এখন তৃণমূলের অবস্থা খারাপ। বিজেপি ঘুরে দাঁড়াবেই।'
প্রসঙ্গত, দুধকুমার এর আগে দাবি করেছিলেন, 'অনুব্রতর বিরুদ্ধে লড়াই করা শুরু করেছিলাম তখন আমার সঙ্গে কেউ ছিল না। আমি কোনও সাহায্য পাইনি। এখন তো কেন্দ্রীয় নেতারাও পাশে রয়েছে। কিন্তু, আমি যেই সময় লড়াই শুরু করেছিলাম সেই সময় কেউ ছিল না।' তবে পরে দুধকুমারের সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের বিবাদ শুরু হয়। দল থেকে কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন তিনি। তবে ভোটের মঞ্চে অনুব্রত গড়ে তিনিই যে পঞ্চায়েতের শেষ কথা, তাই ফের প্রমাণ করল।