scorecardresearch
 

Panchayat Election Violence: বাড়ি ঢুকে নির্দল প্রার্থীর মেয়েকে গুলি, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

Panchayat Election Violence: হুগলির তারকেশ্বরে এই ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালীন এই ঘটনায় স্থানীয়রা কার্যত আতঙ্কিত। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

Advertisement
কপালে গুলি কপালে গুলি
হাইলাইটস
  • হুগলির তারকেশ্বরে এই ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
  • অভিযোগের তীর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের দিকে।
  • ভোটের দিন সকালে হঠাত্ই একদল দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে।

Panchayat Election Violence: শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের সকালে কপালে গুলিবিদ্ধ হলেন নির্দল প্রার্থীর মেয়ে। 
বিরোধীদের অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের দিকে। হুগলির তারকেশ্বরে এই ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালীন এই ঘটনায় স্থানীয়রা কার্যত আতঙ্কিত। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

চন্দনা সিং (২০) কে কলকাতা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর বাবা পিন্টু সিং নির্দল প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, ভোটের দিন সকালে হঠাত্ই একদল দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এরপর তাঁর পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয়। বন্দুক দিয়ে শাসানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। 

এই মারধর, শাসানোর মধ্যেই অশান্তি চরমে পৌঁছায়। এমন সময়ে হঠাত্ই এক দুষ্কৃতী তাঁর মেয়ের কপাল লক্ষ্য করে বন্দুক দিয়ে গুলি চালনা করে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বছর কুড়ির তরুণী। এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এরপরই আততায়ীরা পালিয়ে যান।

আরও পড়ুন

ঘটনাস্থল থেকে গুলি ও বোমার অবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। পিন্টু সিংয়ের অভিযোগ, পুলিশকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে গুলি ও বোমা উদ্ধারে কোনও উত্সাহ দেখাননি বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন পিন্টু সিং ও তাঁর পরিবার।

সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পাওয়ায় নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের একাংশ আক্রোশের বশেই তাঁর পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে। 

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন সম্পর্কিত হিংসার ঘটনায় অন্তত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাজ্যে ত্রীস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ পর্ব চলছে। ভোট সংক্রান্ত হিংসার ঘটনায় পাঁচজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, একজন বিজেপি পোলিং এজেন্ট এবং একজন সিপিআইএম কর্মী নিহত হয়েছেন।

Advertisement

শনিবার সকাল থেকেই গোটা রাজ্য জুড়ে হিংসা, মারধর বোমাবাজির খবর আসছে। বিরোধীদের অভিযোগ, এত হিংসার ঘটনা সত্ত্বেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন  নিরুত্তাপ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। সূত্রের খবর, কমিশনের দফতর থেকে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার বাড়ির দূরত্ব বড় জোর ১ কিলোমিটার। অথচ তিনি দফতরে এসেছেন সকাল ১০টার পর। তার পর ১১টা বাজার আগেই মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, আউশগ্রাম, মানিকচকে খুন হয়ে গিয়েছেন ৭ জন। তারমধ্যে শাসক দল তৃণমূলেরই ৫ জন।

Advertisement