আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই কার্যকর হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন আগেই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিল, প্রচারে অর্থশক্তির জমকালো প্রদর্শন থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনও রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী অতিরিক্ত বড় মাপের কাটআউট, হোর্ডিং, ব্যানার ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন না। এবার লাউড স্পিকার ব্যবহার নিয়েও নির্দেশিকা জারি করল কমিশন।
রাজনৈতিক দলগুলি প্রচারে যখন তখন লাউড স্পিকার ব্যবহার করতে পারবে না। তার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গায় সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই লাউড স্পিকার ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলি চলমান গাড়িতে লাউড স্পিকার ব্যবহার করতে গেলে অনুমতি নিতে হবে নির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের থেকে। লাউড স্পিকার ব্যবহার নিয়ে এই নির্দেশইকা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের সময় লাউড স্পিকার প্রচার করার জন্য একটা মাধ্যম হলেও উচ্চস্বরে বাজানোর জন্য সাধারণ মানুষ এবং পড়ুয়াদেরও সমস্যা হয়। সেই কারণে, নির্বাচনী প্রচারে এবার লাউড স্পিকার ব্যবহার নিয়ে সতর্ক রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
সম্প্রতি নির্বাচনে গাড়ির ব্যবহার নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ স্তরে নির্বাচনী প্রচার করার জন্য এবং ভোটের দিন ও ফল ঘোষণার দিন গাড়ি ব্যবহার নিয়েও উল্লেখ করা হয়েছিল সেই নির্দেশিকায়। প্রার্থীরা আগাম অনুমতি নিয়ে কে, কতগুলি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন তা নিয়ে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল জেলাগুলিতে।
জেলা পরিষদের প্রার্থীদের এবং নির্বাচনী এজেন্টদের প্রচারের কাজে একটিমাত্র চার চাকার গাড়ি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর সেই গাড়িটির নম্বর আগাম সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে জানাতে হবে। তবে পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীদের প্রচারের কাজে দুই স্তরের প্রার্থীরা এবং তার নির্বাচনী এজেন্টরা দু’চাকা বা তিন চাকার গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সেই গাড়ির নম্বরও রিটার্নিং অফিসারকে জানাতে হবে। পাশাপাশি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে মোটরবাইক মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কারণ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন চায় না কোনও ঝামেলা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটুক প্রচারে, ভোটে এবং ফলাফলের দিনে। আর এবার নির্বাচনী প্রচারে লাউড স্পিকার ব্যবহার নিয়েও সতর্ক হল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।