scorecardresearch
 

Post Panchayat Election Violence: বসিরহাট থেকে বাসন্তী, অশান্তি চলছেই, 'উনি কিছুই দেখতে পান না,' মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

পঞ্চায়েত ভোটের গণনাও শেষ হয়েছে। আর তাতে নিরঙ্কুশ ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। অনেক পিছিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। টিমটিম করে জ্বলছে বাম ও কংগ্রেসের বাতি। তবে ভোট মিটলেও রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। বাংলার নানা প্রান্ত থেকে আসছে হিংসার খবর।

Advertisement
মমতার  'আমার কী দোষ' নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের মমতার 'আমার কী দোষ' নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের

পঞ্চায়েত ভোটের গণনাও শেষ হয়েছে। আর তাতে নিরঙ্কুশ ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। অনেক পিছিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। টিমটিম করে জ্বলছে বাম ও কংগ্রেসের বাতি। তবে ভোট মিটলেও রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। বাংলার নানা প্রান্ত থেকে আসছে হিংসার খবর। 

বসিরহাট
ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত বসিরহাটে, আইএসএফ-এর জয়ী প্রার্থীর স্বামীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী দের বিরুদ্ধে। বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের পিফা গ্রাম পঞ্চায়েতের কঠুর গ্রামে ১২৯ নম্বর বুথের আইএসএফ এর জয়ী  প্রার্থী আরজিনা বিবি । বুধবার রাতে তার স্বামী জামাত আলী গাজী কে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে  তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে । আরজিনা বিবির অভিযোগ,গত রাতে জামাত আলী গাজী ঘরের মধ্যে একাই শুয়েছিলেন সেসময় জানা তিনেক দুষ্কৃতী জানালা দিয়ে ঢুকে বেধড়ক মারধর করে খুন করার চেষ্টা করে তাকে। অজ্ঞান হয়ে গেলে মারা গেছে ভেবে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা । অজ্ঞান ও রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় জামাত আলী গাজীকে । আশঙ্কা জনক অবস্থায় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি । পরিবারের পক্ষ থেকে বসিরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । এ ঘটনায় যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে ।

বাসন্তী
ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত বাসন্তীতেও।  বাসন্তীতে বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই বাসন্তীতে বিরোধী দলের সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। রাতের অন্ধকারে আরএসপি কর্মীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানার ভারতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর গরানবোস গ্রামে। পুরনো শত্রুতার পাশাপাশি এই এলাকায় তৃণমূলের জয়ের কারণেই শোয়েব সর্দার নামে ওই আর এসপিকর্মীর বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই আগুন লাগিয়েছে বলে দাবি আক্রান্তদের। এ বিষয়ে বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা। অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন

Advertisement

পূর্ব বর্ধমান
এদিকে পূর্ব বর্ধমানে  তৃণমূলের পার্টি অফিস দখল করে বিজেপির পতাকা লাগিয়ে দিয়েছে গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি  জয়লাভ করছিল, এমতাবস্থায় শাসক দলের কর্মীরা বিজেপি প্রার্থীকে গণনা কেন্দ্র থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেয়। এবং তারপর ব্যালটে কারচুপি করে ভোটে জয়ী হয়।  তৃণমূলের এমন চুরির প্রতিবাদে বুধবার রাত্রে  তৃণমূলের পার্টি অফিস দখল করে  গ্রামবাসীরা মিলে।

নদিয়া
নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে একাধিক গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে   নদিয়ার রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের রামনগর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩ বিঘা গ্রামে।  সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি। অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতির বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।

বাঁকুড়া
 বুথে বিজেপি জিতেছে আর তাই একমাত্র পানীয় জলের কল রাতের অন্ধকারে ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ । অভিযোগের তীর তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে।  যদিও বিষয়টি তাদের জানা নেই বলে দায় এড়িয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস । ঘটনাটি ঘটেছে পাত্রসায়ের ব্লকের নারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বারাসত বুথে । 

পুরুলিয়া 
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবং গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে CBI তদন্তের দাবি জানিয়ে কোলকাতা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে পুরুলিয়া জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন  পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এবং পুরুলিয়া জেলা বিজেপি সভাপতি বিবেক রাঙ্গা।

এদিকে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভোট হিংসায় মৃত্যু প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, 'উনি সব দেখতে পান না, শুনতে পান না। যতটা দৃষ্টি বা বোঝার ক্ষমতা, ততটাই বলছেন। বাস্তব যেটা, যেটা মিডিয়া তুলে ধরছে। সেটা তো অস্বীকার করা যাবে না। এখনও পর্যন্ত অসমর্থিত ভাবে মৃত ৪৭, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ১৯। উনি কাল বলেছেন, আমার কি দোষ? ৪৭ জন মরে যাওয়ার পরেও যদি দোষ দেখতে না পান, বা অনুভব করতে না পারেন তাঁর কী ত্রুটি, তাহলে তো আমরা ভগবান ভরসায় বেঁচে আছি। এমন লোককে দায়িত্ব দিয়েছি যার চোখ নেই, কান নেই, কিছু বুঝতেও পারেন না। নিজের দোষ ছাড়া আর সব দেখতে পান। এরকম লোকের কাছে আর কিছু আশা করা যায় না।'

ভাঙড়ের অশান্তি নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও ভাঙড়ে অশান্তি হয়েছে। বাহিনীর যিনি প্রমুখ, তিনি আগেই বলেছেন, তাঁর কাছে স্পর্শকাতর বুথের লিস্ট ছিল না। কোথাও যেতেও বলা হয়নি। ওনারা নিজে থেকে কিছু জায়গায় গেছেন। এদের অনীহা ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীতে। তাই সেখানে পাঞ্জাব পুলিস ছিল। পুলিসকে কেনা যায়, বেচা যায়। সেজন্যই হয়তো অন্য রাজ্য থেকে পুলিস এনে ওখানে বসানো হয়েছিল। তারা নির্বাক হয়ে ছিল। দর্শক হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিল। ভাবুন একবার! ৬২ হাজার বুথে ভোট। তারমধ্যে শুধু রাজভবনেই অভিযোগ সাড়ে ৭ হাজার। এরকম হাজার হাজার অভিযোগ কমিশনের কাছে বা বিডিওর কাছেও এসেছে। সুরাহা হয়নি। অভিযোগ স্বীকার করাও হয়নি। গণনার দিন বিডিওরা ফোন নামিয়ে রেখেছেন। ধরেন নি। বলেছেন ডিস্টার্ব করবেন না। ডিএম এর কাছে অভিযোগ এলে তারা বলেছে আমরা বিডিওকে বলে দিয়েছি। যা করার ওরা করবে।  রি কাউন্টিং দেয়নি। আর ৮৫ ভোটে আমরা জিতেছি, সেখানে রি কাউন্টিং করে আমাদের হারিয়ে দিয়েছে। 
 

Advertisement

Advertisement