পঞ্চায়েত নির্বাচনে (West Bengal Panchayat Election) টিকিট পেলেন না শেখ সুফিয়ান (Sheikh Sufian)। তিনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের পরিচিত মুখ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতার নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন তিনি। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামের জেলা পরিষদ আসন থেকে সুফিয়ানকে প্রার্থী করা দলের অন্দরেই বিভেদ তৈরি হয়। সেই কারণে তাঁর প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। সুফিয়ানের বদলে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়েছেন এলাকারই আর এক নেতা শামসুল ইসলামকে।
পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হওয়া নিয়ে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চরমে পৌঁছে যায়। তাঁর পছন্দের ব্যক্তিদের প্রার্থী না করাতে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুফিয়ান। এছাড়াও তাঁকেই খোঁদ নির্বাচনী কমিটিতে রাখা হয়নি। এই অবস্থায় সুফিয়ান ঘনিষ্ঠরা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেয় বহু আসনেই। সামসাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮টি আসনের মধ্যে ১০টি, কেন্দেমারি পঞ্চায়েতের ২২ আসনের মধ্যে ১৯টি এবং দাউদপুরের ১৭টি আসনেই মনোনয়ন জমা দেন সুফিয়ানের লোকজনই। নন্দীগ্রামের জেলা পরিষদ আসনে শেখ সুফিয়ান প্রার্থী ঘোষণা হওয়াতে বুধবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়।
পরিস্থিতি দেখে বাধ্য হয়ে বুধবার রাতে নন্দীগ্রামে গিয়ে বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যদিও তাতেও পরিস্থিতি শান্ত না হওয়াতে শেখ সুফিয়ানের জেলা পরিষদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিল তৃণমূল। তাঁর জায়গায় দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শামসুল ইসলামকে জেলা পরিষদের প্রার্থী করা হয়েছে।
আসলে একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশের অভিযোগ ছিল, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে শেখ সুফিয়ানের ভূমিকা সঠিক ছিল না। যার কারণেই মমতাকে হারতে হয়েছে। শেখ সুফিয়ান অবশ্য বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। যদিও ভোটের পরে সুফিয়ানের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীই।